সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০ দিন পেরিয়েছে মহাশূন্যে ভেসে রয়েছেন দুই নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে নির্দিষ্ট সময় ফিরতে পারেননি। পৃথিবীর মাটিতে তাঁদের পা রাখতে রাখতে সেই আগামী বছর। এরই মধ্যে যতটা সম্ভব একঘেঁয়েমি কাটাতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিজেদের পছন্দমতো কাজ করে চলেছেন সুনীতা, বুচ। কখনও মন দিচ্ছেন কৃষিকাজে, কখনও আবার রোবো বিজ্ঞান নিয়ে মেতে থাকছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা উইলিয়ামস। সম্প্রতি শোনা গেল, মহাকাশের জঞ্জাল সাফ করার জন্য একটি রোবোটিক্স সিস্টেমকে সক্রিয় করছেন সুনীতা। যা পরবর্তী সময়ে মহাকাশ অভিযানে সাহায্যকারী হয়ে উঠবে।
জানা গিয়েছে, ‘অ্যাস্ট্রোবি’ নামে একটি রোবটকে কাজে লাগানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের আশপাশে আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য। এর বিশেষ নকশার কারণে মাইক্রোগ্র্যাভিটির সাহায্যে স্পেস স্টেশনের চারপাশে সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। বলা হচ্ছে, মহাকাশে জঞ্জালের কারণে স্যাটেলাইট বা রকেটগুলি যে ক্ষতির মুখে পড়ে, তা থেকে বাঁচাতে পারবে অ্যাস্ট্রোবি। পাশাপাশি কৃত্রিম উপগ্রহের কার্যক্ষমতাও মসৃণ রাখবে এই রোবট। সুনীতার কাজ হল, অ্যাস্ট্রোবির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি। তিনি এমনভাবে কাজ করছেন, যাতে কক্ষপথের আশপাশের জঞ্জাল পরিষ্কার করা এবং স্যাটেলাইটের যথাযথ পরিষেবা বজায় রাখা।
এছাড়া কৃষিকাজ নিয়েও গবেষণায় ব্যস্ত থাকছেন সুনীতা আর বুচ। মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে গাছ কীভাবে বাড়ে, তা দেখতেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে চাষ করছিলেন তাঁরা। আর এর ফলাফলও হয়েছে অভাবনীয়। দেখা গিয়েছে চমৎকার ভাবে বাড়ছে লেটুস গাছ। তবে রংটা একটু ভিন্ন। সবুজ পাতার গোড়ায় গাঢ় লালচে বাদামি। এই গবেষণার সাফল্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামিদিনে দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানে খাদ্য সংকট মেটাতে এই গবেষণা পথিকৃতের কাজ করবে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এমনই নানা কাজে ব্যস্ত থেকে সময়টা পেরিয়ে যেতে চাইছেন দুই নভোশ্চর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.