Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাপড়ের জবার মালা

পরিবেশ বাঁচাতে উদ্যোগ, প্লাস্টিকের জবার বদলে এবারের কালীপুজোয় কাপড়ের ফুল

দাম বেশি হলেও কাপড়ের জবার মালার চাহিদা তুঙ্গে।

To save environment artificial flowers are made by piece of clothes
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 18, 2019 7:51 pm
  • Updated:October 18, 2019 7:52 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: পরিবেশ বাঁচাতে দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের অনেকেই সদিচ্ছা দেখিয়েছিলেন। প্লাস্টিক বর্জিত মণ্ডপ তৈরি করে পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দিয়েছিলেন। এবার আসন্ন কালীপুজোতেও দেবীর অঙ্গে আর দেখা যাবে না প্লাস্টিকের জবা। তার পরিবর্তে অঙ্গসজ্জায় বাজারে এসেছে কাপড়ের জবা। দাম প্লাস্টিকের ফুলের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তবে প্লাস্টিকের চেয়ে দেখতে শৌখিন এই জবার চাহিদা এবছর কম নয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকার দশকর্মার দোকান থেকে অর্ডার পাচ্ছেন মালা ব্যবসায়ীরা।
দুর্গাপুজোর আগেই প্রশাসন থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, নিরঞ্জনের সময় নদী কিংবা জলাশয়ে বেশিক্ষণ প্রতিমার কাঠামো ফেলে রাখা চলবে না। তার সঙ্গে জলাশয়ে ফুল, বেলপাতা ও প্লাস্টিক ফেলাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার দুর্গাপুজোয় অনেক উদ্যোক্তাই প্লাস্টিকবিহীন করে নজির সৃষ্টি করেছে। প্লাস্টিকমুক্ত দেশ গড়তে অনেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন। এবার কালীপুজোতেও আর কার্যত দেখা যাবে না প্লাস্টিকের জবা ফুল।

[আরও পড়ুন: বাঘমামার দর্শন পেতে চান? জঙ্গল সফরের সময় এগুলো মাথায় রাখুন]

জবা ছাড়া অসম্পূর্ণ কালীপুজো। তবে দেখা যায় মূল পুজোর সময় আসল জবা ব্যবহার হলেও দেবীপ্রতিমার অঙ্গসজ্জায় ব্যবহৃত হত কৃত্রিম জবার মালা। গত বছর পর্যন্ত কাটোয়া-সহ আশপাশের এলাকায় প্লাস্টিকের জবাফুলের মালা দেদার বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এবছর বাজারে একপ্রকার উধাও সেসব প্লাস্টিকের জবা। তার পরিবর্তে বাজারে এসেছে লাল কাপড় দিয়ে তৈরি জবা ফুল। বিশেষ করে ১০৮ ও ৫৪টি ফুল দিয়ে তৈরি এই ধরনের জবার মালা বিক্রির জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
কয়েকদিন পরেই কালীপুজো। তার আগে চূড়ান্ত ব্যস্ত মালা শিল্পীরা। প্লাস্টিক বর্জনের এই উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যেও। তাঁরা সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন এই পদক্ষেপের। কাটোয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বিশ্বজিৎ পাল নামে এক ব্যবসায়ী কৃত্রিম ফুলের পাইকারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁর কাছেই কাজ করেন প্রায় ৭০ – ৭৫ জন মহিলা। তাঁদের কাজ, মালা গেঁথে দেওয়া। ডজন হিসাবে মজুরি পান তাঁরা। কাটোয়া, কেতুগ্রাম, অগ্রদ্বীপ এলাকায় বেশ কয়েকজন গৃহবধূ বিশ্বজিৎবাবুর কাছে ফুল নিয়ে গিয়ে ঘরে বসে মালা তৈরি করে ফের পৌঁছে দেন। তাঁরাই এবার তৈরি করছেন কাপড়ের জবার মালা। বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, ‘এবছর থেকে আর প্লাস্টিকের ফুলের মালা তৈরি হয়নি। তার পরিবর্তে রোলেক্স কাপড়ের তৈরি ফুলের মালা তৈরি করা হচ্ছে। কাপড়ের ঔজ্জ্বল্য বেশি। পাশাপাশি কাপড় পচনশীল। ব্যবহার হওয়ায় পর মাটিতে মিশতে সমস্যা হয় না।’ পরিবেশ বাঁচানোর তাগিদে এই বৈচিত্র্য আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ছবি: জয়ন্ত দাস।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জ্যোমাটোয় অর্ডার দিয়ে প্রতারণার শিকার, ১০ হাজার টাকা খোয়ালেন তরুণী]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ