Advertisement
Advertisement

জলসংরক্ষণ অভিনব প্রয়াস, চালু হচ্ছে ওয়াটার রিচার্জ স্কিম

আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Water recharge scheme will be started in East Burdwan
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 9, 2019 1:08 pm
  • Updated:December 9, 2019 1:51 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দৈনন্দিন ব্যবহার্য জলের অনেকটাই অপচয় হয়। বয়ে যায় নর্দমা দিয়ে। আবার বৃষ্টির জলও নর্দমা দিয়ে বয়ে গিয়ে নদীতে পড়ে। ভূগর্ভের জল উত্তোলন করে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই পরিমাণ জল ভূগর্ভে ফেরত যায় না বা ‘রিচার্জ’ করা হয় না। ফলে ভূগর্ভের জলস্তর কমছে। আগামী দিনে ভূগর্ভের জলের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে।

আপনি আচরি ধর্ম মেনে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ জলের অপচয় বন্ধ এবং বৃষ্টি ও দৈনন্দিন ব্যবহৃত জল পরিস্রুত করে ভূগর্ভে ফিরিয়ে দিতে প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। জেলা পরিষদ ভবনের এই প্রকল্প ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও জলসংরক্ষণে উৎসাহিত করবে বলে আশা করছেন জেলা পরিষদের কর্তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন : মুসলিমদের জমি দেওয়ার দরকার নেই, অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার আরজি হিন্দু মহাসভার]

সাম্প্রতিক বিভিন্ন রিপোর্ট ও ঘটনায় বিশ্বজুড়ে জলসংকট কতটা ভয়াবহ হচ্ছে তা দেখা গিয়েছে। তাই সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু জানান, জেলা পরিষদ ভবনে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ জল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই জলের অনেকটাই নালা দিয়ে বেরিয়ে যায়। লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে সেই জলকে ভূগর্ভে পাঠানোর। তার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ২৮ দিন পর বাড়ি ফিরলেন লতা মঙ্গেশকর, অনুরাগীদের জন্য আবেগঘন পোস্ট সুর সম্রাজ্ঞীর]

জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত জল পরিস্রুত করে ভূগর্ভে পাঠানো হবে। ডিপিআর বা ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে পাঠানো হচ্ছে। অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম জানান, ওয়াটার রিচার্জ স্কিম বা ভূগর্ভে পুনরায় জল পাঠানোর প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। যা জেলায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়াররা প্রকল্পের রিপোর্ট তৈরি করছেন। আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেবু টুডু বলেন, “জল সংরক্ষণে জেলা পরিষদ পথ দেখাবে অন্য প্রতিষ্ঠানকে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ