স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা লিগের লক্ষ্মী কার ঘরে অধিষ্ঠান করবে, লক্ষ্মীবারেই হয়তো তা নির্ধারণ হতে চলেছে। কেননা, যুবভারতীতে যখন মিনি ডার্বিতে মহামেডানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভিকুনার মোহনবাগান, ঠিক তখনই লিগ টেবিলে একের বিরুদ্ধে দুইয়ের লড়াই চলবে বারাসতে। স্বাভাবিকভাবেই আপাতত চারে থাকা মোহনবাগান কোচের মিনি ডার্বিতে নামার আগে চাপে থাকার অনেক কারণ আছে। কিন্তু তিনি কিবু ভিকুনা। কথা বললে মনে হয়, হাজার প্রতিকূলতার মধ্যেও ‘চাপ’ নামক শব্দটি থেকে অনেক দূরে। নাহলে বুধবার প্র্যাকটিসের পর কেন বলবেন, “বাস্তবটাকে অস্বীকার করব কী করে? চারটে দলের মধ্যে এই মুহূর্তে কলকাতা লিগের এক নম্বর দাবিদার পিয়ারলেস। তিনটে দলের থেকে একটা ম্যাচ কম খেলার জন্যই এই সুবিধা পাচ্ছে ওরা।”
এই তথ্যগুলি জেনে যদি কারও মনে হয়, মোহনবাগান বুঝি লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে, তাহলে তা একেবারেই ভুল। কারণ, পিয়ারলেসকে এগিয়ে রেখে চাপটা অন্য শিবিরে পৌঁছে দিতে চাইলেও ফুটবলারদের ক্লাসে কিন্তু অন্য কথাই বলেছেন মোহনবাগান কোচ। যার সারমর্ম হচ্ছে, বৃহস্পতিবারের মিনি ডার্বি, মোহনবাগান ফুটবলারদের কাছে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। যার বাখ্যা দিতে গিয়ে কিবু বললেন, “এরিয়ান ম্যাচটা হেরে গিয়ে আমরা তো লিগ টাইটেল থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিলাম। পরের রেনবো ম্যাচে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলকে ভবানীপুরের আটকে দেওয়া আমাদের ফের চ্যাম্পিয়নশিপের রাস্তায় এনে দিল।’’
প্র্যাকটিসে যা দল সাজিয়েছিলেন, তাতে শেষ ম্যাচে রেনবোর বিরুদ্ধে যে তিনজন বিদেশি নিয়ে শুরু করেছিলেন, সেই তিনজন বিদেশিকে নিয়েই মহামেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর ভাবনা। তাহলে নবাগত বিদেশি জুলেনের কী হবে? ঠিক হয়েছে, শুরুতে বেঞ্চে থাকবেন। তারপর প্রয়োজন হলে নামানো হবে। আর জুলেন নিজে বলছেন, “উফ গরমটাই যা কষ্টের। নাহলে খেলার জন্য আমি তৈরি।” সঙ্গে জুড়ে দেন, “এবারের লিগে কোনও দুর্বল দল নয়। কোন ম্যাচে কী হয়, কেউ বলতে পারবে না। ফুটবলারদের বলেছি, চাপ না নিয়ে নিজেদের খেলা খেলতে। বাকিটা ম্যাচের পর বোঝা যাবে।” তবে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও এখনই লিগ জয়ের আশা ছাড়তে রাজি নন মহামেডান কোচ দিপেন্দু বিশ্বাসও। তিনিও হুঙ্কার দিয়েছেন, ভিকুনার দলের বিরুদ্ধে জিততে প্রস্তুত সাদা-কালো ব্রিগেড।
তবে মিনি ডার্বির উত্তেজনা অনেকটাই ভাগ হয়ে গিয়েছে পিয়ারলেস বনাম ভবানীপুর ম্যাচের জন্য। লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে বাকি দুই প্রধানকে পিছনে ফেলে ছুটছে এই দুই দল। বৃহস্পতিবার বারাসতে যারা জিতবে, তারা লিগ জয়ের দিকে এগিয়ে যাবে। আরও সহজ করে বললে বলতে হয়, কামো-ক্রোমার লড়াইয়ে যে বাজি জিতবেন, লিগ তাদের। কেন? ক্রোমা ১১ গোল করে সবার আগে। তাঁর পিছনে কামো ৯ গোল করেছেন। সবমিলিয়ে তাই ঘরোয়া লিগে জমজমাট লক্ষ্মীবারের লড়াই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.