সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই সময় বাংলাদেশে চলছে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন। যা শুরু হয়েছিল গত বছর জুলাই মাসে। শেষমেশ ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। দেশটির রাজনৈতিক পালাবদলের প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। বিসিবি’র প্রধান নাজমুল হোসেন পাপন দেশত্যাগ করেন। শঙ্কায় পড়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ চণ্ডিকা হাতুরেসিংহেও। পরে অক্টোবরে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। যদিও তাঁর নামে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। তবে সে সব অভিযোগ উড়িয়ে মুখ খুলেছেন হাতুরেসিংহে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রাণের ভয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে।
কী বলেছেন তিনি? অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম কোড স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “বাংলাদেশ সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কথা আমার কাছে শেষ কথা ছিল। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে আমার চলে যাওয়া উচিত। এ ব্যাপারে বোর্ডের কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। উনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তোমার কাছে ফেরার টিকিট আছে?’ বুঝেছিলাম, এটা আমার কাছে একটা সতর্কতা। তাই কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তিনি আরও জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার সঙ্গে বন্দুকধারী গার্ড ও ড্রাইভার আছে?’ আমার কাছে সেই সময় কেবল ড্রাইভার ছিল।”
তাঁর সংযোজন, “এয়ারপোর্ট যাওয়ার আগে সরাসরি ব্যাঙ্কে যাই। বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য কিছু টাকা তো জোগাড় করতে হবে। যখন ব্যাঙ্কে ছিলাম, তখনই খবর পাই আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যাই হোক, সেই সময় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বলেন, ‘কোচ, আমি আপনার সঙ্গে যাব। রাস্তায় মানুষ আপনাকে দেখলে সেটা আপনার জন্য নিরাপদ হবে না। কোনও রকমে আমরা একটা টুপি ও হুডি পরে এয়ারপোর্ট ঢুকি। আর কোনও নিরাপত্তা ছিল না। বাংলাদেশ ছেড়েছিলাম সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যরাতের ফ্লাইটে।”
উল্লেখ্য, বিসিবি’র অনেক সিদ্ধান্তই অমান্য করেছেন বাংলাদেশের কোচ। নিজের ঢংয়েই ‘রাজত্ব’ চালিয়েছেন। যা স্বাভাবিকভাবেই ভালো চোখে নেননি কর্তাব্যক্তিরা। হাতুরেসিংঘে থাকায় দলে যে তাদের রাশ খানিকটা আলগা হয়েছে, সেই গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিবাদ বাঁধানোর অভিযোগকে সামনে রেখেই বিদায় জানানো হয়েছিল হাতুরেসিংঘকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.