Advertisement
Advertisement

Breaking News

জেটলি

শেহওয়াগের বিয়েতে বড় ভূমিকা ছিল জেটলির, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর প্রয়াণে ব্যথিত বীরু

'ফাদার ফিগার হারালাম', বললেন গৌতম গম্ভীর।

Former Finance Minister Jaitley hosted Sehwag's wedding at his house
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 24, 2019 6:27 pm
  • Updated:August 24, 2019 6:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল জেস্ক: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি ক্রীড়া দুনিয়াতেও তিনি ছিলেন অন্যতম উজ্জ্বল নাম। বীরেন্দ্র শেহওয়াগ-সহ খেলার জগতের তারকারা তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।

অনেকেই হয়তো জানেন না, শেহওয়াগের বিয়েতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন অরুণ জেটলি। ২০০৪ সালে আরতীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বীরু। সেসময় অরুণ জেটলিই বিয়ের জায়গা ঠিক করে দিয়েছিলেন। শেহওয়াগের বাবাকে তিনি বলেছিলেন, ৯ অশোক রোডে তাঁর জন্য যে বাংলো দেওয়া হয়েছে, সেখানেই বিয়ের আয়োজন করা যাবে। কারণ সেই সময় ব্যক্তিগত কারণে বাংলোটি তিনি ব্যবহার করতেন না। শুধুমাত্র প্রাক্তন ভারতীয় তারকার বিয়ের জন্য বাংলোটি ফার্নিশ করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। এমনকী অতিথি আপ্যায়নের জন্যও সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন নিজের হাতে। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে দলীয় কাজে চলে যাওয়ায় শেহওয়াগের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি।

Advertisement

এদিন তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শেহওয়াগ টুইট করেন, “অরুণ জেটলিজির প্রয়াণে ব্যথিত। রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি দিল্লির বহু ক্রিকেটারকে ভারতীয় দলে সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সেসময় দিল্লি থেকে অনেকেই জাতীয় স্তরে জায়গা পেত না। কিন্তু ডিডিসিএ-তে থাকাকালীন তিনি অনেককে সে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটারদের সমস্যা শুনতেন। তা সমাধানও করতেন। আমার সঙ্গে দারুণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর পরিবার-পরিজনের জন্য আমার সহানুভূতি রইল।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: যুবক অরুণের ভিন্ন রূপ, কলেজ জীবনে মেয়েদের চোখে ছিলেন ‘হিরো’]

১৯৯৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দিল্লি ও রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার (ডিডিসিএ) সভাপতি ছিলেন অরুণ জেটলি। এর পাশাপাশি বিবিসিআইয়ের সহ-সভাপতির পদও সামলেছিলেন তিনি। ডিডিসিএ-তে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আম আদমি পার্টি দাবি করেছিল, অরুণ জেটলির সময় ও তার পরের একবছর পর্যন্ত বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থা গঠন করা হয়েছিল। ২০১৫ পর্যন্ত যেগুলি চলেছে। সেসব দুর্নীতির তদন্তও করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র বলে অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, ফিরোজ শাহ কোটলার স্টেডিয়াম নিয়েও নাকি নানা দুর্নীতি রয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে দর্শকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকাঠামো নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থেকে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কোনওটাই ঠিক নেই। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ডিডিসিএ-র তৎকালীন প্রাক্তন সভাপতি চেতন চৌহান বলেছিলেন, এসব তথ্য ভুল। বরং ফিরোজ শাহ কোটলার উন্নতির জন্য জেটলিকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। পরবর্তীকালে অবশ্য জেটলির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।

শেহওয়াগের পাশাপাশি শোকাহত শচীন তেণ্ডুলকর থেকে বিরাট কোহলি, প্রত্যেকেই। ভারত অধিনায়ক টুইটারে জানান, ২০০৬ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর সময় হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও বিরাটের বাড়ি এসেছিলেন জেটলি। দিল্লির আরেক তারকা গৌতম গম্ভীর লিখেছেন, তাঁর জীবনে বাবার মতোই ছিলেন জেটলি। ‘ফাদার ফিগার’ চলে যাওয়ায় জীবনের একটা অংশও হারিয়ে গেল। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে চলতি টেস্টে শনিবার কালো আর্ম ব্যান্ড পরেই মাঠে নামবে ভারতীয় দল। 

[আরও পড়ুন: ছাত্র রাজনীতি থেকে দেশের অর্থমন্ত্রী, একনজরে অরুণ জেটলির জীবনপঞ্জি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ