গম্ভীর ও তাঁর ম্যানেজার গৌরব অরোরা।
রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: আইন থাকলে আইনের ফাঁকও থাকে। বিসিসিআই থেকে হাজারো নিয়ম-কানুন জারি করা হয়েছে ক্রিকেটারদের উপর। বাদ যাননি কোচ গৌতম গম্ভীরও। তাঁর ব্যক্তিগত ম্যানেজার গৌরব অরোরা এখন থেকে আর টিম হোটেলে থাকতে পারবেন না। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে।
ব্যাপারটা কী? তার জন্য পিছিয়ে যেতে হবে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ব্যর্থতা ও তার পরবর্তী ঘটনাবলির দিকে। ক্রিকেটারদের কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিদেশ সফরে পরিবার নিয়ে বেশি সময় কাটানো যাবে না। কতটা মালপত্র সঙ্গে নেবেন তারও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সহকারী বা রাঁধুনি রাখা যাবে না। স্বাভাবিকভাবে এই নিয়ম গম্ভীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ফলে অস্ট্রেলিয়ায় যেমন হয়েছে, সেটা আর হবে না। ভারতীয় কোচের ম্যানেজার গৌরব অরোরা এখন থেকে টিম হোটেলে থাকতে পারবেন না, স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সেও বসতে পারবেন না। এমনকী দলের বাসের সঙ্গেও যেতে পারবেন না তিনি। শোনা গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় দলের ব্রেকফাস্টেও উপস্থিত থাকতেন গৌরব। সেই সব বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
কিন্তু ওই যে, আইনের ফাঁক। ২২ জানুয়ারি থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু। তার প্রথম ম্যাচ ইডেনে। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সেখানে গম্ভীরের সঙ্গে দেখা গেল গৌরবকে। বাইপাসের ধারের যে হোটেলে ভারতীয় দল ও গম্ভীর থাকছে, সেখানে গৌরব থাকছেন না। তিনি থাকছেন অন্য হোটেলে। এতটা পর্যন্ত কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, মজার বিষয় দুটি হোটেল একই শাখার অন্তর্গত। দুটি হোটেলের মধ্যে যাতায়াতের জন্য রাস্তাও আছে। ফলে এমন ব্যবস্থা হল, যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে। আসলে দূরে থেকেও কাছে। আর তাতেই প্রশ্ন। বোর্ডের যে হাজারো বিধিনিষেধ, তা কি আদৌ ঠিকভাবে মানা সম্ভব? আর যদি গোড়াতেই কোনওভাবে গলদ ধরা পড়ে, তাহলে ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সমস্ত দায় চাপিয়ে দেওয়া যায়? স্পষ্ট উত্তর না পাওয়া গেলেও, বকলমে কড়াকড়ি নিয়ে সমস্যা কিন্তু রয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.