সৌরাশিস লাহিড়ী: টি-২০ সিরিজ জেতা হয়ে গিয়েছে। এবার লক্ষ্য একদিনের সিরিজ। যা আজ সন্ধ্যায় শুরু হবে।
মনে প্রশ্ন জাগছে, এমন সিরিজ কি সত্যিই আমরা দেখতে চেয়েছিলাম? নাকি চেয়েছিলাম, একটা মিইয়ে যাওয়া সিরিজের সাক্ষী থাকতে? টি-২০ ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ানরা বিধ্বংসী মেজাজে খেলে প্রত্যেকেই জানে। সেই ক্যারিবিয়ানদের এমনভাবে ধরাশায়ী হতে দেখে সত্যি কেমন যেন অবাক লাগছে। তাই কায়মনোবাক্যে চাইব, গেইলরা আজ মারমুখী মেজাজে খেলুক। ভারতীয় দলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামনে ফেলে দিক। তাহলেই তো সিরিজ জমবে। নাহলে নেতিয়ে পড়া সিরিজ দেখে লাভ কী? তবে গেইল, হোয়াটমোর, সাই হোপরা দলে থাকায় ব্যাটিং লাইন যেমন শক্তপোক্ত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আবার বোলিংয়ে ওসেন থমাসরা এসে যাওয়ায় অন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেখব বলে আমার বিশ্বাস।
বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আবার একদিনের ম্যাচ খেলতে নামছে কোহলির দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়া ছিল হৃদয়বিদারক। পাশাপাশি কোহলিরা দেখিয়ে ছিল, এবারও তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়নের জায়গায় ছিল। আজ তিনটে দিক লক্ষ্য করার জন্যই ম্যাচটা দেখব। এক, ঋষভ পন্থ। দুই, রবীন্দ্র জাদেজা। তিন, শিখর-রোহিত জুটি কতটা মারাত্মক হয়ে উঠার ক্ষমতা রাখে। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ধোনির জমানা প্রায় শেষ। ঋষভ গায়ানায় তৃতীয় ম্যাচে তার বিধ্বংসী রূপ দেখিয়েছে। বুঝিয়েছে, কী বা কতটা সে করতে পারে। আমরা গত কয়েকবছর ধরে যা ধোনির মধ্যে দেখে আসছি, গায়ানার তারই প্রতিচ্ছবি প্রকাশ পেয়েছে ঋষভের খেলায়। সুতরাং ঋষভকে আগামী ম্যাচগুলোতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগোতে হবে। প্রশ্ন হল, তাকে ব্যাট হাতে কোন জায়গায় নামতে দেখব? চারে, পাঁচে না ছ’য়ে। আমার ধারণা চার নম্বরে কেএল রাহুল যোগ্য। তাকে সেই জায়গায় নামানো হোক। পাঁচে আসুক শ্রেয়াস আইয়ার। ছ’য়ে নামুক ঋষভ পন্থ। ততক্ষণে প্রতিপক্ষের বোলাররা মোটামুটি অনেকটা ঘাম ঝরিয়ে ফেলবে। তখন ঋষভ নামলে দল ভাল রান পেতে বাধ্য।
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাদেজাকে দেখেছিলাম গর্জে উঠতে। হয়তো সেদিন ম্যাচ জেতাতে পারেনি। কিন্তু চরম লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিল তার ব্যাটিং। এখানে হার্দিক পাণ্ডিয়া নেই। তাই জাদেজাকে অলরাউন্ডার হিসাবে ব্যবহার করা হোক। বিশ্বকাপে চোট পাওয়ার পর আবার নামছে শিখর ধাওয়ান। দেখি রোহিত-শিখর কতটা ওপেনিংয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। একটা ব্যাপার দিনের আলোর মতো পরিষ্কার-ভারতীয় দলের শুরুতে তিন মহারথীর উপর দলের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করে। শিখর-রোহিত-কোহলি যদি ঠিকঠাক খেলে দেয় তাহলে ভারত রানের পাহাড় গড়ে তুলবেই।
দুই স্পিনারের মধ্যে জাদেজার খেলা নিশ্চিত। দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে চাইব চাহালকে। কুলদীপ এখনও নিজেকে ঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে পারছে না। গত কয়েকমাস ধরে তার উপর দিয়ে যেন একটা ঝড় বইছে। চাহাল সেই জায়গায় অনেক ভাল ফর্মে রয়েছে। তাহলে চাহালকে কেন প্রথম একাদশে নেওয়া হবে না? তিন পেসারের মধ্যে শামি, ভুবনেশ্বর কুমারের পাশে নিশ্চয় দেখব খলিল আহমেদকে। খলিল ছেলেটা ইতিমধ্যেই সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে। এখন দেখার কতটা আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে নিয়ে যেতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.