ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ ব্যাটারের সেঞ্চুরি। অথচ দিনের শেষে ৫০০ রানও হল না। শেষ ৭ উইকেট পড়ল মাত্র ৪১ রানে। আবার ফিল্ডিংয়ের সময় একের পর এক ক্যাচ মিস। বুমরাহ ছাড়া আর কোনও বোলারকে সেভাবে কার্যকরীই মনে হচ্ছে না। সব মিলিয়ে হেডিংলি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে চূড়ান্ত হতাশ ভারতীয় সমর্থকরা। হতাশ গাভাসকরের মতো কিংবদন্তিও। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ে যে একের পর এক ক্যাচ মিস হয়েছে, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকরা।
আসলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিন বল করার সময় গোটা তিনেক ক্যাচ ছেড়েছে। বেন ডাকেটের একটি ক্যাচ ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। একটি ক্যাচ ফেলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহর বলে অলি পোপের ক্যাচ পড়েছে স্লিপে। ফেলেছেন সেই যশস্বী জয়সওয়াল। পোপ তখন ৬০ রানে ব্যাট করছিলেন। শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে যিনি ১০০ রানে ব্যাট করছেন। জাদেজা-যশস্বীদের হাত থেকে ক্যাচ যাওয়া যত না বিস্ময়কর। তার চেয়ে অধিকতর বিস্ময়কর বোধহয় মহম্মদ সিরাজ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের ‘বালখিল্য’ বোলিং করে যাওয়া।
সবটা মিলেই চূড়ান্ত বিরক্ত গাভাসকর। তিনি বলছেন, “এরপর নিশ্চয়ই কোনও ফিল্ডিং মেডেল দেওয়া হবে না। যেগুলি ফিল্ডিং কোচ দিলীপ ম্যাচের শেষে দিয়ে থাকেন। এটা সত্যিই খুব হতাশাজনক। যশস্বী জয়সওয়াল হয়তো খুব ভালো ফিল্ডার কিন্তু ও যেন কিছুই ধরতে পারছে না।” সার্বিকভাবে হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। সেই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি থেকে ভারতীয় বোলিংকে একা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বুমরাহ। আর কত করবেন তিনি? সিরাজ-প্রসিদ্ধরাও আর কবে শিক্ষানবীশের’ পর্যায় থেকে যোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম’ হয়ে উঠবেন বুমরাহর? নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে।
তবে এখনও দেরি হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় দিনের শেষেও ভারতের হাতে ২৬২ রান পুঁজি রয়ে গিয়েছে। ইংল্যান্ডের হাতে ৭ উইকেট। ভারত দ্বিতীয় দিনের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারলে হয়তো তৃতীয় দিন এখানে থেকেও জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপানো যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.