ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটকে আমূল বদলে দিয়েছে আইপিএল। বহু তারকার জন্ম দিয়েছে এই কোটিপতি লিগ। বুমরাহ, হার্দিক, সিরাজ, যশস্বী, রাহুল, চাহাল, কুলদীপের মতো তারকারা এই কোটিপতি লিগেরই ফসল। তবে এ কথা উপেক্ষা করা যাবে না, আইপিএলের ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও প্রভাব পড়েছে। এমনকী বৈষম্যও পরিলক্ষিত। আর যা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন সুনীল গাভাসকর।
তাঁর মতে, আইপিএলের মতো রনজি ট্রফিরও সমান গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু একদিকে যখন ১৪ বছরের তরুণ প্রতিভা বৈভব সূর্যবংশীকে ১.১ কোটি টাকায় কেনা হয়, তখন ঘরোয়া ক্রিকেটে বিপরীত চিত্র। একদিকে মেগা টি-টোয়েন্টি লিগের জাঁকজমক, অন্য দিকে কোথাও যেন শূন্যতার ছবি ঘরোয়া ক্রিকেটে। কেন এমন পার্থক্য, সেটাই দেখিয়েছেন গাভাসকর।
তিনি বলেন, “এই আইপিএল আবারও দেখাল, এখানে একজন অজানা-অচেনা খেলোয়াড় উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু রনজি ট্রফির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ বিপরীত। সেখানে ভালো খেলেও শিরোনামে আসতে পারে না বহু ক্রিকেটার। দু-একটা মরশুম খেলে অনেকেই হারিয়ে যায়। এমন উদাহরণ ভূরি-ভূরি। আইপিএল মরশুমে কোনও ক্রিকেটার সুযোগ পেলে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও অর্থ উপার্জন করতে পারে। যা রনজি ট্রফিতে সারাজীবন খেলেও অর্জন করা যায় না। এটা তো একটা বৈষম্য। যার অন্যতম কারণ, আইপিএলের বিপুল জনপ্রিয়তা, বিশাল সম্প্রচার স্বত্ব, স্পনসরশিপ। ঘটনাচক্রে আইপিএলের চেয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনগুণ বেশি ম্যাচ খেলেও এত অর্থ উপার্জন করা যায় না।”
গাভাসকরের কথায়, “রনজি ট্রফি, বিজয় হাজারে, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলা কোনও ক্রিকেটার মরশুম শেষে যা উপার্জন করে, তা একজন আনক্যাপড আইপিএল খেলোয়াড়ের সর্বনিম্ন বেস প্রাইস ৩০ লক্ষ টাকার চেয়েও কম। মুম্বই যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে, বাকি ক্রিকেট সংস্থাগুলিরও এগিয়ে এসে এই বৈষম্য দূর করা উচিত।” এভাবেই বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ও বাতলে দিলেন গাভাসকর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.