সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচটা দেখার পর চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতরা হয়তো আফসোস করছেন। গতবার কেকেআরের আইপিএল (IPL 2025) ফাইনাল জয়ে মিচেল স্টার্কের (Mitchell Starc) বড়সড় অবদান ছিল। অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসারকে এবার আর রিটেন করেনি কেকেআর। নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস তুলে নেয় তাঁকে। দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল, সেটা বুধবার বোঝা গেল।
শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থান রয়্যালসের দরকার ছিল মাত্র ৩১ রান। হাতে সাত উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জলভাত টার্গেট। তার উপর দিল্লির মাঠ বেশ ছোট। কিন্তু আঠারোতম ওভারে স্টার্ক দিলেন মাত্র আট রান। শেষ ওভারে আবার রাজস্থানের প্রয়োজন ন’রান। ক্রিজে সিমরন হেটমেয়ারের মতো বিগহিটার। এবারও দুরন্ত স্টার্ক। প্রত্যেকটা ডেলিভারি নিখুঁত করে গেলেন। যার ফলে আট রানের বেশি তুলতে পারল না দিল্লি। ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে।
আর সুপার ওভার? সেখানেও একইরকম দুরন্ত স্টার্ক। অজি পেসারকে সামলে রাজস্থান কোনওমতে তুলল ১১। যা খুব সহজে তুলে দিলেন লোকেশ রাহুল আর ট্রিস্টান স্টাবস। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল রাজস্থান অনায়াসে জিতবে, কিন্তু স্টার্কের ওই দুটো ওভার যাবতীয় হিসেব-নিকেশ বদলে দিয়ে গেল। দুরন্ত পারফরম্যান্স করে আবারও অজি পেসার প্রমাণ করলেন, কেন তাঁকে আকাশছোঁয়া দাম দিয়ে কিনতে চায় দলগুলি। ম্যাচ শেষে প্রাক্তন পেসার ডেল স্টেনও একই কথা বলেছেন।
বুধবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেছিল দিল্লি। তুষার দেশপাণ্ডের এক ওভারে বাংলার অভিষেক পোড়েল ২৩ রান নেন। তারপর অবশ্য চাপে পড়ে যায় দিল্লি। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল ১৪ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। স্টাবস ১৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মূলত ওই দু’জনের জন্যই দিল্লির স্কোর ১৮৮ পর্যন্ত পৌঁছয়। রাজস্থানের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (৫১), সঞ্জ স্যামসন (৩১ অবসৃত) শুরুটা ভালো করলেও লাভ কিছু হল না। স্টার্কের কাছেই হেরে গেল রাজস্থান। এর সঙ্গে অধিনায়ক সঞ্জুর চোট। যা চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল রাজস্থানের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.