রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০৫/৫ (কোহলি ৭০, পড়িক্কল ৫০, সন্দীপ ৪৫-২)
রাজস্থান রয়্যালস: ১৯৪/৯ (যশস্বী ৪৯, ধ্রুব ৪৭, হ্যাজলউড ৩৩-৪)
১১ রানে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। শেষ তিন ওভারেও বোঝা যাচ্ছিল না কারা জিতবে। তবু শেষপর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রেখেই ম্যাচটা নিয়ে বেরিয়ে গেলেন বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)। ফলশ্রুতি, ঘরের মাঠে রাজস্থানকে (Rajasthan Royals) হারিয়ে দিল আরসিবি (RCB)।
এদিন টসে হেরে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। ঘরের মাঠে পরপর চারবারই টসে হারতে হল রজত পতিদারকে। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই হয়েছিল কোহলিদের। বিরাট ছন্দেই ছিলেন। পাশাপাশি ফিল সল্টও একবার ক্যাচ তুলে বেঁচে দিয়ে নয়া উদ্যমে মারতে শুরু করেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য (২৬) বেশিক্ষণ টেকেননি তিনি। সপ্তম ওভারে তাঁর উইকেট পড়ার পর পরবর্তী আট ওভারেরও বেশি সময়ের জন্য দুরন্ত জুটি বাঁধেন বিরাট-পড়িক্কল। যোগ করে যান ৯৫ রান। শেষপর্যন্ত ৪২ বলে ৭০ রানে আউট হন কোহলি। ৮টি বাউন্ডারি ও জোড়া ছক্কার ইনিংসটিতে শতরানের গন্ধ ছিল। কিন্তু হল না। অন্যদিকে পড়িক্কল ২৭ বলে ঝোড়ো ৫০ করে যান (৪x৪, ৩x৬)। শেষপর্যন্ত বেঙ্গালুরু থামে ৫ উইকেটে ২০৫ রানে। শেষ চার ওভারে ওঠে ৩৪ রান। অধিনায়ক রজতের ১ রানে ফেরার ফলেই ২২০ পেরনো হল না বিরাটদের।
রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত শুরু করে রাজস্থান। সৌজন্যে যশস্বী জয়সওয়াল। মাত্র ১৯ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি। ছিল তিনটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কাও। চোদ্দো বছরের বৈভব ফেরেন ১২ বলে দু’টি ছক্কার ১৬ রানে ইনিংস খেলে। যার জেরে নবম ওভারেই একশো পেরিয়ে যায় রিয়ান পরাগের দল। রিয়ান নিজে নীতীশ রানাকে সঙ্গে নিয়ে নতুন জুটি বেঁধে স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু আচমকাই তিনি ১০ বলে ২২ (২x৪, ২x৬) করে আউট হয়ে যান।
এরপরই রানের গতিতে আচমকাই কে যেন ব্রেক কষে দেয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে অনেক নেমে যাওয়া আস্কিং রেট। চাপ বাড়তে থাকে ব্যাটসম্যানদের উপরে।ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরেন বিরাটরা। স্পিনারদের মারতে অপারগ ধ্রুব জুড়েল কিছুতেই রানের গতি বাড়াতে পারছিলেন না।তার মধ্যেই নীতীশও (২৮) ফিরলেন। ধ্রুব বুঝতে পারছিলেন চালাতে না পারলে আর ম্যাচে ফেরা যাবে না। আস্কিং রেট তখন বারোয় পৌঁছেছে।
দু’টি বিশাল ছক্কা মেরে ফের রাজস্থানকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন ধ্রুবই। হেটমেয়ারকে (১১) খুইয়েও যে ম্যাচে টিকে ছিল রাজস্থান তা তাদের উইকেটকিপারের সৌজন্যেই। শেষ ৩ ওভারে যখন বাকি ছিল ৪০ রান, ধ্রুব এক ওভারে নিলেন দু’টি করে চার ও ছয়! সব মিলিয়ে সেই ওভারে এল ২২ রান। যখন মনে হচ্ছে অনায়াসে জিতবে রাজস্থান, ধ্রুব (৪৭) আউট! তিনটি ছক্কা ও তিনটি চারের ইনিংসটি শেষ হয় হ্যাজলউডের বলে। পরের বলেই জোফ্রা আর্চার (০) ফিরলেন।শেষ ওভারে দরকার ছিল সতেরো রান।এল মাত্র পাঁচ। এগারো রানে ম্যাচ জিতে নিল আরসিবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.