ছবি: বিসিসিআই
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৫৪/১০ (ব্রেভিস ৪২, আয়ুষ ৩০, হর্ষল ২৮/৪)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৫৫/৫ (ঈশান ৪৪, কামিন্দু ৩২, নুর ৪২/২)
৫ উইকেটে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা দল গতবারের ফাইনালিস্ট। আরেকটা দল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। শেষবেলায় হলেও দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব বর্তেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির উপর। অথচ আইপিএলের লিগ টেবিলে সবার শেষে দুই দল। প্লে অফের স্বপ্ন কোনও রকমে টিকিয়ে রাখার লড়াই ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। সেখানে শেষ হাসি হাসল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ধোনির চেন্নাইকে পাঁচ উইকেটে হারাল তারা। এই প্রথমে চিপকের মাঠে জয় পেল সানরাইজার্স। অন্যদিকে সিএসকে শুধু লিগের ‘লাস্ট বয়’ হয়েই রইল না। প্লে অফের স্বপ্নও কার্যত শেষ তাদের।
এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রতি ম্যাচে ঠিক যে সমস্যায় চেন্নাই ভুগছে, এই ম্যাচেও তার অন্যথা হল না। দিনের প্রথম বলটাতেই মহম্মদ শামিকে উইকেট দিয়ে এলেন সাইক রশিদ। আইপিএলে এই নিয়ে চারবার প্রথম বলেই উইকেট পেলেন বাংলার পেসার। ‘সকাল’টা ভালো গেলেও বাকি দিনটা সেরকম ভালো গেল না শামির। বরং সেখানে বাজিমাত করে গেলেন হর্ষল প্যাটেল। হায়দরাবাদের ব্যাটিং বা বোলিং, কবে যে আগুন ছোটাবে, আর কে ব্যর্থ হবে, বলা মুশকিল। এদিন যেমন হর্ষলের সৌজন্যে চেন্নাইকে অল্প রানেই বেঁধে ফেলল হায়দরাবাদ। তিনি তুললেন ৪ উইকেট। চিপকের পিচও যথেষ্ট সাহায্য করেছে। বল থামছে, সুইং করছে। সেখানে কি না চেন্নাই ব্যাটিংকে টানলেন দুই ‘বদলি’। একজন ১৭ বছরের আয়ুষ মাত্রে। আরেকজন ‘বেবি এবি’ ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। দুজনেই দলে এসেছেন আহত ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে। প্রথমজন করলেন ১৯ বলে ৩০ রান। পরেরজন ২৫ বলে ৪২ রান। হাঁকালেন চারটি ছক্কা। শেষদিকে দীপক হুডা করলেন ২২ রান। যদিও রান পেলেন না ধোনি (৬)। শেষমেশ সব উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস।
সেটা তুলতেও কার্যত কালঘাম ছুটল হায়দরাবাদের। ওই যে, হায়দরাবাদের অবস্থা হল কাপড় দিয়ে মাথা ঢাকতে পা বেরিয়ে যায়। বললে বিশ্বাস করা মুশকিল, চলতি আইপিএলে তাদের ভুগিয়েছে অভিষেক শর্মা, ট্র্যাভিস হেডদের দিয়ে সাজানো ব্যাটিং লাইন আপ। চেন্নাইয়ের ওপেনার যদি এক বলে আউট হন, তাহলে অভিষেকের জন্য বরাদ্দ দুই বল। একটা সেঞ্চুরি ছাড়া তাঁর ফর্মের অবস্থা কহতব্য নয়। তথৈবচ ট্র্যাভিস হেডও। কোনও রকমে ১৬ বলে করলেন ১৯ রান। তবে হায়দরাবাদকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিলেন ঈশান কিষান। হেনরিক ক্লাসেন ফিরে গেলেন ৭ রানে। কিন্তু অন্যদিকে সদ্য বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে ঢোকা ঈশান মাটি কামড়ে পড়ে রইলেন। চিপকের পিচে জাদেজাদের স্পিন সামলানোর কাজটা নিতান্ত সহজ ছিল না। ৪৪ রান করলেও আউট হলেন নুরের পাতা ফাঁদা পা দিয়ে। ২টো উইকেট তুললেও ৪২ রান দিলেন নুর। তবু জাদেজা-খলিলরা চেন্নাইকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাদ সাধলেন দুজন। একজন হায়দরাবাদের কামিন্দু মেন্ডিস। অন্যজন চেন্নাইয়েরই মাহিশা পাথিরানা। সতেরোতম ওভারে দিলেন ১৫ রান। তার মধ্যে দুটি ওয়াইড। ওই ওভারে রানের গতি কম হলে চাপ বাড়ত হায়দরাবাদের উপর। সেটা অবশ্য হয়নি। কামিন্দু ও নীতীশ রেড্ডি দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে জেতে হায়দরাবাদ। প্লে অফের আশা সামান্য টিকে রইল তাদের জন্য।
ধোনি আগের ম্যাচে হারের পর বলেছিলেন, পরের ম্যাচের দল তৈরি করবেন। স্যাম কুরান বা ব্রেভিসকে দলে ঢোকানো তার সূচনা হতে পারে। কিন্তু শিবম দুবেরা যেভাবে ডোবাচ্ছেন, তাতে ধোনির কাজটা যে ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.