সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পিএসএল’কে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিল পাক বোর্ড। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা। জানা যাচ্ছে, পিএসএল আয়োজনে রাজি নয় আমিরশাহী। বিশেষত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে যেভাবে তারা সাফল্য পেয়েছে, তাতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পিএসএল নিয়েও নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে। পরে স্থগিত করে দেওয়া হয় পাকিস্তান সুপার লিগ।
ঘটনা হচ্ছে, পিএসএলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে যে পরবর্তী ম্যাচগুলি আমিরশাহীতে হবে। কিন্তু ঘটনা পরম্পরা যেভাবে এগিয়েছে, তাতে আমিরশাহী কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, “এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বিসিসিআইয়ের সম্পর্ক বেশ ভালো। ২০২১-এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বা ২০২৫-এ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতের ম্যাচ সেখানে আয়োজিত হয়েছে। আইপিএলও হয়েছে।”
আরেকটি বিষয় হল আইসিসি’র সদর দপ্তর দুবাইয়ে। আর বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার চেয়ারম্যানের নাম জয় শাহ। সূত্রের খবর, “দক্ষিণ এশিয়ার প্রচুর মানুষ আমিরশাহীতে থাকে। তারা ক্রিকেট ভালোবাসে। দু’দেশের মধ্যে এরকম উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে পিএসএলের মতো একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে দেশের সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বাড়বে। সম্প্রদায়গুলির মধ্যে বিভাজনও হয়ে যেতে পারে।” ফলে পিএসএল আয়োজন নিয়ে মহা সমস্যায় পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের প্রত্যাঘাতে রীতিমতো কোণঠাসা পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একাধিক হামলার ছক বানচাল করে পালটা দেয় ভারত। ড্রোন হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাওয়ালপিণ্ডি স্টেডিয়াম। রাত ৮টায় পিএসএলে পেশওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের মধ্যে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই স্টেডিয়ামে আছড়ে পড়ে ভারতীয় ড্রোন। প্রথমে ম্যাচ রাওয়ালপিণ্ডি স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়। ম্যাচ বাতিলের কয়েক ঘণ্টা পাক বোর্ড জানায়, টুর্নামেন্টের বাকি ৮টি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে হবে। কিন্তু সেটা এ যাত্রায় হচ্ছে না বলেই খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.