আলাপন সাহা: রনজির প্রথম ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে এসেছিল ৩ পয়েন্ট। এবার ঘরের মাঠে পুরো ৭ পয়েন্টই লক্ষ্য ছিল বাংলার। কারণ প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলকভাবে ‘দুর্বল’ বিহার। কিন্তু কোথায় কী? কল্যাণীর মাঠে সারাদিন বলই গড়াল না। নেপথ্যে বৃষ্টির যুক্তি দেখানো হলেও রোদ ছিল সারাদিন। তার পরও কেন কল্যাণীর মাঠে খেলা হল না, সেই বিষয়ে অখুশি বাংলা শিবির।
এবার রনজিতে যথেষ্ট শক্ত গ্রুপে বাংলা। স্বাভাবিকভাবেই বিহারের থেকে পুরো পয়েন্ট পেতে মরিয়া ছিলেন অভিমন্যুরা। অথচ প্রথমদিনটা নষ্ট হওয়ায় সেটা কতদূর সম্ভব, তা ভাবাচ্ছে বাংলা দলকে। অথচ এদিন কল্যাণীতে রোদ ছিল, খেলাও শুরু করা যেত। কিন্তু গতকাল বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ ভিজে ছিল। সেভাবে কভারের ব্যবস্থা ছিল না, মাঠ শুকনো করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।
কর্তৃপক্ষও অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছে যে, রনজির ম্যাচ আয়োজন করার জন্য আরও প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। তবে তাদের বক্তব্য, এত বৃষ্টি হবে সেটা বোঝা সম্ভব হয়নি। আর সেখানেই আরও একটি আশঙ্কা। শুক্রবারও যদি ভারী বৃষ্টি হয়, তাহলে এই পরিকাঠামোয় দ্বিতীয় দিনের খেলাও ভেসে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ৭ পয়েন্ট বা ৬ পয়েন্ট তো দূরের কথা, ঘরের মাঠেও ৩ পয়েন্টই সম্বল হবে। এমনকী কারওর কারওর মনে হল, আদৌ এই মাঠ ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণই হয় না।
স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ বাংলা শিবিরে। বিহারকে হারানোর বিষয়ে তৈরিই ছিলেন অভিমন্যুরা। শুধু হারানো নয়, এই ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট পেলে অনেকটাই এগিয়ে থাকত বাংলা। বিহার আগের ম্যাচেই ইনিংসে হেরেছে। এই গ্রুপে কর্ণাটক, পাঞ্জাব, কেরালার মতো শক্তিশালী দল রয়েছে। সেখানে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলা ৩ নম্বরে থাকলেও সামনের লড়াইটা কঠিন। তার মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে কল্যাণীর মাঠ। এদিকে শততম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার জন্য সম্মান জানানো হয় অভিমন্যু ঈশ্বরণকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.