হরিয়ানা: ১৫৭, ৩৩৬
বাংলা: ১২৫, ৮৫ (ঋদ্ধিমান সাহা ২৫, অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় ২১, অংশুল কম্বোজ ৪-৩৫)
বাংলা ২৮৩ রানে পরাজিত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের পর বছর ব্যর্থতা। ট্রফির খরা। ছবিটা বদলাল না এবারও। হরিয়ানার বিরুদ্ধে লজ্জার হারে এ বছরের মতো রনজি অভিযান প্রায় শেষ বাংলার। কল্যাণীতে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ২৮৩ রানের বিরাট ব্যবধানে হারল অনুষ্টুপ মজুমদারের বাংলা। শুধু তাই নয়, রনজির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ে লজ্জার নজিরও গড়লেন বঙ্গ ব্যাটাররা।
এই ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজ আহমেদদের পায়নি বাংলা। ব্যাটিং বিভাগের দুর্বলতা ঢাকতে পেসারদের উপর ভরসা রেখে কল্যাণীতে গ্রিন টপ উইকেট বানায় সিএবি। কিন্তু নিজেদের পাতা সুইংয়ের ফাঁদে নিজেরাই ধরা পড়ে গেলেন অনুষ্টুপরা। প্রথম ইনিংসে সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের বোলিংয়ে মাত্র ১৫৭ রানে গুঁটিয়ে যায় হরিয়ানার ইনিংস। কিন্তু ব্যাটাররা সেই রানটাও প্রথম ইনিংসে তুলতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে বাংলা অল-আউট হয় মাত্র ১২৫ রানে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রেকর্ড ভেঙে অভিষেক হওয়া ১৫ বছরের অঙ্কিত চ্যাটার্জি করেন ২৯ রান। অভিষেক পোড়েল ৩১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে আর বাংলার বোলাররাও প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে নিশান্ত সাধু এবং হিমাংশু রানার ব্যাটে ভর করে ৩৩৬ রান তুলে ফেলে হরিয়ানা। এবারেও পাঁচ উইকেট পান সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। কিন্তু হরিয়ানার দেওয়া বিশাল লক্ষ্যমাত্রার চাপে ফের ভেঙে পড়ে বাংলার ব্যাটিং বিভাগ। এবার মাত্র ৮৫ রানে শেষ অনুষ্টুপদের ইনিংস। যা রনজি ট্রফির ইতিহাসে বাংলার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ঋদ্ধিমান সাহা (২৫), অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় (২১) এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক (১২) ছাড়া আর কোনও ব্যাটার দুই অঙ্কেও পৌঁছতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত বাংলা হারল ২৮৩ রানে।
এই হারের ফলে রনজি থেকে বাংলার বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। পরের রাউন্ডে যেতে হলে রনজির গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচই জিততে হত। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই হরিয়ানার বিরুদ্ধে সরাসরি হারে স্বপ্নভঙ্গ হল ঋদ্ধিমানদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.