ইংল্যান্ড- ২৮৭, ১৮০
ভারত- ২৭৪, ১৬২
৩১ রানে জয়ী ইংল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীরে এসে তরী ডোবা হয়তো একেই বলে। একা বীর-বিক্রমে লড়াই করে কোহলি যে আশার বাতি জ্বালিয়েছিলেন তাঁর উইকেটের পতনের পরই নিভে গেল সেই আলো। নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থ আর সুইংয়ের সামনে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের চেনা অসহায়তা আবারও প্রকাশ্যে চলে এল। আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল বিদেশের মাটিতে ম্যাচ জেতানোর জন্য যে মানসিকতার প্রয়োজন কোহলি ছাড়া দলের অধিকাংশ ব্যাটসম্যান তা আয়ত্তই করতে পারেননি। আর সেজন্যেই হয়তো এজবাস্টন টেস্টে ভারত দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট যা রান করল তাঁর ৬০ শতাংশই করতে হল একা অধিনায়ককে। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় কোহলির একার লড়াই কাজে এল না।৩১ রানে হার দিয়েই সিরিজ শুরু হল বিরাটদের।
[পাঠচক্রকে মাথায় উঠতে দিতে নারাজ মোহনবাগান]
দ্বিতীয় ইনিংসে নামার আগে ভারতের কাছে ছবিটা ছিল খুব স্পষ্ট। ম্যাচ জিততে হলে করতে হবে ১৯৪ রান। এর আগে ২০০৩ সালে শেষবার বিদেশের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে একশোর বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। বিগত ১৫ বছরে যা হয়নি তা এবার হতেই পারত। কারণ এবারে ভারতের হাতে ছিল বিরাট কোহলি নামক ব্রহ্মাস্ত্র। কিন্তু একা বিরাটের লড়াই কাজে লাগল না। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও যোগ্য সংগত পেলেন না ভারত অধিনায়ক। চতুর্থ ইনিংসে অধিনায়কের ৫১ রানের ইনিংস ছাড়া উল্লেখযোগ্য যোগদান বলতে হার্দিক পাণ্ডিয়ার ৩০ আর দীনেশ কার্তিকের ২০ রান। টপ-অর্ডারের কোনও ব্যাটসম্যান ১৫ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। একটা সময় জয়ের জন্য ৮৪ রান দরকার ছিল, তখনও হাতে ছিল ৫ টি উইকেট, তাতেও হল না শেষরক্ষা। ফলে, সহজ লক্ষ্য নিয়েও ৩১ রানে পরাস্ত হতে হল বিরাট ব্রিগেডকে। ভারতের ইনিংস শেষ হল ১৬২রানে।
[অতিবৃষ্টিতে খেলতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল, মাঝপথেই পরিত্যক্ত টালিগঞ্জ ম্যাচ]
হারের কারণ খুঁজতে গেলে অবশ্য সব দোষটা খালি অপরিণত ব্যাটিংকে দায়ী করা যাবে না। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে শিখর ধাওয়ান দীনেশ কার্তিকদের ক্যাচ মিস, এবং অনভিজ্ঞ অলরাউন্ডার স্যাম কুরানকে আউট করতে না পারার ব্যর্থতাকেও দায়ী করতে হয়। কারণ যাই হোক, এককথায় বলাই যায় বিদেশের মাটিতে আরও একটি রূপকথার গল্প লেখার সহজ সুযোগ হারালেন বিরাট কোহলির সতীর্থরা। গোটা সিরিজে টেস্ট জেতার এত সুবর্ণ সুযোগ ভারত আর পাবে কিনা বলা সত্যিই মুশকিল।