Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলকাতা লিগে গুরুত্বপূর্ণ দিন

ঘরোয়া লিগে ইতিহাসের দোরগোড়ায় পিয়ারলেস, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় ইস্টবেঙ্গলও

জটিল অঙ্কেও ঘাবড়াচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল।

CFL: both East Bengal and Peerless need a win to clinch championship
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 29, 2019 11:26 am
  • Updated:September 29, 2019 11:26 am

স্টাফ রিপোর্টার : একদিকে আতঙ্ক। অন্যদিকে প্রবল চাপ। এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে রবিবার খেলতে নামছে পিয়ারলেস। প্রতিপক্ষ জর্জ টেলিগ্রাফ। যাদের হারালে ৬১ বছর পর কলকাতা ফুটবলে তিন প্রধানের বাইরে কোনও ছোট দল লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে। শুক্রবার পিয়ারলেস খেলেছে। আবার তাদের আজ নামতে হচ্ছে। মাঝে ছিল শুধু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান। এই নিয়ে ক্ষোভ যেমন রয়েছে।

[আরও পড়ুন: মিনি ডার্বিতে দুরন্ত জয়, লিগের লড়াইয়ে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল]

আবার শতবর্ষে দাঁড়ানো ইস্টবেঙ্গলকে নিয়েও দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এক অজানা আতঙ্ক। কি? আলেজান্দ্রো বাহিনীও জিতলে ২৩ পয়েন্টে চলে আসবে। কিন্তু লাল-হলুদ শিবিরকে জিততে হবে কম করে ছ’গোলে। সেখানে পিয়ারলেস জিতলে ২৩ পয়েন্টে যেমন চলে আসবে। পাশাপাশি গোল পার্থক্যে এই মুহূর্তে পিয়ারলেস চার গোলে এগিয়ে। রবিবার পিয়ারলেস না জিতলে এমনিতেই ছিটকে যাবে। যদি জেতে তাহলে কম করে এক গোল ধরলে ইস্টবেঙ্গলকে সেখানে জিততে হচ্ছে হাফ ডজন গোলে। তাই পিয়ারলেসের কোচ জহর দাস বলছিলেন, “সবকিছু আমাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। ২২দিনের ব্যবধানে একটা ম্যাচ খেলেছি। অথচ রবিবার খেলতে নামব দু’দিনের ব্যবধানে। তাহলেই ভেবে দেখুন কোন জায়গায় আমাদের দাঁড় করানো হচ্ছে। যাই হোক, ছেলেদের বলেছি, তোমরা ঠান্ডা মাথায় খেল। নিজেদের খেলা খেলতে পারলে জর্জকে না হারানোর কিছু নেই।”

বারাসতে আজ জর্জ পাচ্ছে না তাদের বিদেশি ডিফেন্ডার ইচেকে। গতম্যাচে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখায় ইচে নেই। তবু সন্তোষে বাংলার তথা জর্জের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, “আমাদের হারানোর কিছু নেই। তাই আমরা অল-আউট খেলব। ঠিক করেছি তিন বিদেশি প্রথম থেকে খেলবে। যারমধ্যে দু’জন ফরোয়ার্ড ও একজন মিডফিল্ডার। পিয়ারলেসের ক্রোমা হল আসল। বিদেশিদের বলেছি, এখন ক্রোমার কথাই সকলে বলছে। প্রমাণ কর ক্রোমার চেয়ে কোনও অংশে তোমরা পিছিয়ে নেই।” সেই সঙ্গে রঞ্জনের হুঙ্কার, “ওরা এক গোল করলে আমরা দু’গোল করব। চাপ পিয়ারলেসের উপর। আমরা খোলা মনে খেলব। এক একটা মিনিট শেষ হবে, চাপে পড়বে পিয়ারলেস।” জর্জের মাঝমাঠ ভিত্তিক আক্রমণকে ভয় পাচ্ছেন জহর। বলেই দিলেন পিয়ারলেস কোচ, “ভবানীপুরের বিরুদ্ধে দেখেছি ওরা মাঝখান দিয়ে আক্রমণ করে। এই জায়গাটা বন্ধ করতে হবে।” ইচে না খেলায় আরও সুবিধা হয়েছে পিয়ারলেসের।

Advertisement


[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় আহত মোহনবাগান সমর্থকের পাশে ক্রোমা, আর্থিক সাহায্যের অঙ্গীকার]

অন্যদিকে, ত কয়েক বছর ইস্টবেঙ্গল আর কলকাতা লিগ মানেই হয়ে উঠেছিল অবিচ্ছেদ্য এক প্রেমকাহিনি। ফরম্যাট যাই হোক। যত দলই থাক। শেষমেশ ট্রফির গন্তব্য ইস্টবেঙ্গল তাঁবু। গত মরশুমে সেই প্রেমকাহিনীর আকাশে ঘনিয়ে আসে বিচ্ছেদের কালো মেঘ। লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। এ বারও লিগের শেষ ম্যাচে কাস্টমসের বিরুদ্ধে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে সেই আশঙ্কা আবার দেখা দিচ্ছে। একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগ কি ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারবে? ফুটবলারদের অঙ্ক নিয়ে ভাবতে বারণ করেছেন আলেজান্দ্রো। স্প্যানিশ কোচের বার্তা সহজ, ‘ম্যাচটা জেতো। কাস্টমস ম্যাচে তিন পয়েন্ট তোলো। বাকিটা ভাগ্যের উপর।’

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ