Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোহনবাগান

পিয়ারলেস ম্যাচ দিয়ে সিএফএল অভিযান শুরু মোহনবাগানের, দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা

জয় দিয়ে অভিযান শুরু করতে মরিয়া সবুজ-মেরুন।

defending champions Mohun Bagan to start CFL against Peerless today
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 5, 2019 12:46 pm
  • Updated:August 6, 2019 5:34 pm

স্টাফ রিপোর্টারসবে প্র‌কটিস শেষ করে ড্রেসিংরুমে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ক্লাবে চলে এলেন স্ত্রী ‘কাশিয়া।’ পোল্যান্ড থেকে সরাসরি এলেন মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার স্ত্রী। মোহনবাগান সমর্থকদের মতে সবুজ-মেরুনের ‘লেডি লাক।’ পোল্যান্ডে বাস করা স্প্যানিশদের নিয়ে একটা ছোট্ট লিগ চলে। যে লিগের ‘অ্যাম্বাসাডর’ ভিকুনার স্ত্রী। মোহনবাগানের সঙ্গে সরকারি ভাবে যুক্ত না হলেও কলকাতা লিগে তিনিও কিন্তু কিবু ভিকুনার অস্ত্র হতে পারেন। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে নানাবিধ তথ্যাদি সংগ্রহ করে রাখার জন্য।

[আরও পড়ুন: শতবর্ষের আবহে দুরন্ত জয় দিয়ে ডুরান্ড অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের]

গতবারের রানার্স বলে পিয়ারলেসের যাবতীয় তথ্য তাঁর নখদর্পণে, এরকমটা নয়। এদেশে আসার আগে পোল্যান্ডে বসেই আই লিগে নিজের দলের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারদের সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য মোহনবাগান কোচের কাছে মজুত। আর যে মুহূর্তে জানলেন, কলকাতা লিগেও খেলতে হবে, যতভাবে সম্ভব দেখে নিয়েছেন প্রতিপক্ষ দলের খেলা। সঙ্গে সহকারী রঞ্জনের থেকেও খোঁজ নিয়েছেন বারবার করে। যে কারণে, এদিন প্র্যাকটিসের পর গড় গড় করে বলতে শুরু করলেন পিয়ারলেস টিমের ফুটবলারদের নাম–“ক্রোমা, অ্যান্টিন উলফ…।”

Advertisement

লিগের প্রথম ম্যাচেই মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ গতবারের রানার্স পিয়ারলেস। যাদের এই মুহূর্তে পয়েন্ট ২ ম্যাচ খেলে ১। কোচ জহর দাসের দল দু’ম্যাচে গোল খেয়েছে ৬টি। আর গোল করেছে ৫টি। ফলে গোল খেলেও ক্রোমা আর অ্যান্টনি উলফ নিয়ে ফরোয়ার্ড লাইন মারাত্মক শক্তিশালী পিয়ারলেসের। যা জেনে নিয়েছেন কিবু ভিকুনাও। “হুম। ওদের দলের গভীরতা জানি। আমরাও তৈরি।” স্প্যানিশ কোচ হলে হবে কী, তিকিতাকা ফুটবলের সেই স্কোয়ার পাসের পাসিং ফুটবলটা তাঁর পছন্দ নয়। “আমি কি চাই? পাসের ফুলঝুরি ঝড়িয়ে হাততালি নেব না, গোলমুখী ফরোয়ার্ড পাস বাড়িয়ে দ্রুত গোলের মুখে চলে যাব? আমার কাছে কম সময়ে গোলের কাছে পৌঁছে যাওয়াটা বেশি জরুরি। যে কারণে নির্দিষ্ট কোনও সিষ্টেম পছন্দ নয় তাঁর। যখন যেরকম দরকার। “খেয়াল করে দেখবেন, শুক্রবার মহামেডানের বিরুদ্ধে কখনও আমরা ৪-৩-৩ সিস্টেমে খেলেছি, কখনও ৪-৪-২ তে চলে গিয়েছি।” যে কারণে, তাঁর কোনও একজন বিশেষ কোচও নেই পছন্দের তালিকায়। সবার থেকে ভালটা নেওয়ার চেষ্টা করেন। -‘‘একমাত্র গুয়ার্দিওয়ালাকেই মনে হয় পারফেক্ট কোচ। সব মিলিয়ে ব্যালান্স করেন। দিয়েগো সিমোনের যেরকম আবার ডিফেন্সিভ স্টাইল পছন্দ। দেল বস্ক আবার ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। সবার থেকেই ভালটা খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি।”

Advertisement

এতো গেল বৃহৎ অর্থের কথা। কলকাতা লিগে তাহলে কী হবে? এই প্রসঙ্গে ভিকুনার কিছুটা হলেও বিরক্তি রয়েছে মোহনবাগান মাঠ ঘিরে। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে যুবভারতীতে খেলার পর লিগের প্রথম ম্যাচ নিজেদের মাঠে। যেখানে ঘাস প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য বড়। ফলে  দ্রুত গতির পাসিং ফুটবলের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্র্যাকটিস শেষ হতেই গ্রাউন্ডসম্যানকে দ্রুত নির্দেশ, মাঠের ঘাস ছাঁটতে হবে। আর তা শুরুও হয়ে গেল।

[আরও পড়ুন: বিতর্কিত মন্তব্যের জের, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তিন মাস সাসপেন্ড মেসি]

এতো গেল মাঠের বাইরের ঘটনা। সোমবার মাঠের ভেতরেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন ভিকুনা। প্রথম ২০জনে পরিবর্তন আসছেই, তবে সেটা কিছুটা বাধ্য হয়ে। সাহিল, দীপ সাহা-সহ জুনিয়র দল থেকে যে চারজন ফুটবলারকে সই করানো হয়েছিল, তাঁরা কেউই পিয়ারলেস ম্যাচের ২০ জনের দলে থাকতে পারবেন না। পরে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলেই প্রথম ম্যাচে খেলানো সম্ভব নয়। এর বাইরেও মোহনবাগান কোচ চাইছেন, দলে বেশ কিছু বদল। বললেন, “শুক্রবার ডুরান্ডের ম্যাচ হয়েছে। সোমবার ফের ম্যাচ। একই সঙ্গে দুটো প্রতিযোগিতায় খেলতে হবে। তাই পরিস্থিতি বুঝে বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে হবে। যাতে দুটো প্রতিযোগিতাতেই ফুটবলাররা ঠিক ভাবে খেলতে পারে। তবে আমি কিন্তু অজুহাতের কথা বলছি না। যখন কোচিং করতে রাজি হয়েছি, তখন অজুহাত দেওয়ার মানে হয় না। তাই চেষ্টা করব, সোমবার পিয়ারলেস ম্যাচেও দলে কিছু পরিবর্তন আনতে।’’

এখনও পর্যন্ত একটা ম্যাচে কোচিং করিয়েছেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই দর্শকদের ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত ভিকুনা। বলছিলেন, “যেভাবে দর্শকরা আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন, আশা করব, এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন। সমর্থকদের সমর্থন ছাড়া ভাল কিছু করা সম্ভব নয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ