স্টাফ রিপোর্টার: খালিদ জামিল প্রথম দিনই বোঝালেন তিনি কী চান। জানেন, রাতারাতি দলকে খোলনলচে বদলাতে পারবেন না। এও বোঝেন, নতুনত্ব কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। যা আছে তারই মধ্যে কিছু পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সেই চালিয়ে যাওয়ার কাজটাই মঙ্গলবার সকাল শুরু করলেন আই লিগ জয়ী কোচ। কলকাতায় তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়াপত্তন ঘটল।
সাংবাদিক সম্মেলনে এসে যা বলে যান তার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। যেমন প্রথম দিন। নিজেদের খেলা খেলতে হবে। নতুন করে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এতদিন যেভাবে খেলেছে দল সেই খেলাই যেন নব্বই মিনিট খেলে। পরে বলছিলেন, “এখন এই দলকে আলাদা করে কিছু বলব না। ইচ্ছে থাকলেও কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই। ওরা খোলা মনে যাতে খেলতে পারে তারই চেষ্টা চালাব।” তবে খালিদ প্রথম দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডিসিপ্লিন হল তাঁর কাছে আসল। যা ডিকা, ইউতাদের মধ্যে বড় অভাব দেখা যাচ্ছিল। আসলে কর্তারা বুঝে গিয়েছেন, এমন একজনকে সঙ্কট মুহূর্তে নিয়ে আসতে হবে যিনি একদিকে হবেন হেডস্যার। অন্যদিকে কোচিং দক্ষতার চূড়ান্ত জায়গায় থাকবেন।
তবে খালিদের কাছে আজ মিনার্ভা ম্যাচটা হবে ফুটবলে পেনাল্টি নেওয়ার মতো। জিতলে ঠিক আছে। অঘটন ঘটলে কেউ তাঁকে দোষারোপ করবে না। তবে ভাঙলেও মচকানোর পাত্র নন খালিদ। তাই তিনি ঠিক করেছেন, গতম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে পাঁচজনকে সরাবেন। যেমন শিল্টনের জায়গায় আসতে পারেন শঙ্কর বা রিকোর্ডো। অরিজিৎ, কিমকিমা-কে ডিফেন্স থেকে সরিয়ে আনতে চান অভিষেক ও দলরাজকে। জুয়ালার পরিবর্তে আজহার, সৌরভের বদলে দলে ঢুকতে পারেন ডারেন। তবে মোহনবাগানিদের কাছে সুখবর, মিনার্ভার দুই বিদেশি ডিফেন্ডার খেলবেন। বাকিরা চোট-আঘাতের জন্য মাঠের বাইরে। এই সুবিধে নিতেই হবে ডিকা, হেনরিদের। নাহলে তাঁরা যে ভিলেন বনে যাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.