দুলাল দে, গুয়াহাটি: বাঙালির আবেগের ডার্বি। যুবভারতীতে খেলা হলে এখনও সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। মাঠ ভরান হাজার হাজার দর্শক। রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফুটতে থাকে যুবভারতী। কিন্তু বছরের প্রথম ডার্বিতে সেই আবেগ বা উচ্ছ্বাসের ছিটেফোঁটা অন্তত মাঠে বসে আঁচ করা গেল না। বাঙালির বড় ম্যাচে দর্শক হল মেরেকেটে হাজারখানেক।
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য নিরাপত্তার অভাবে যুবভারতীতে ডার্বির আয়োজন করা যায়নি। বড় ম্যাচ সরানো হয় গুয়াহাটিতে। এমনিতে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা মাত্র ১৯ হাজার। সব আসন যে ভরবে না সেটা আয়োজকরাও জানতেন। গুয়াহাটিতে যত বাঙালি থাকুক না কেন, কলকাতার উন্মাদনা কি আর সেখানে থাকা সম্ভব? তাছাড়া কোথায় হবে ডার্বি, সেই টানাপোড়েনে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে করতেও অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে। ফলে সময় বেশি ছিল না সমর্থকদের হাতে। চাইলেও হয়তো অনেক সমর্থক গুয়াহাটিতে যেতে পারেননি।
ফলা যা হওয়ার তাই হল। সব মিলিয়ে গোটা মাঠ কুড়িয়ে হাজার খানেক দর্শক হবেন কিনা সন্দেহ। দুই প্রধানের গুটিকয়েক সমর্থক বাংলা থেকে পৌঁছেছেন। কিছু স্থানীয় সমর্থকও খেলা দেখতে গিয়েছেন। তবে মোটের উপর সিংভাগ দর্শকাসন ফাঁকা। দর্শক নেই, ফলে অভিনব টিফো থাকবে প্রত্যাশা করাও ভুল। তবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা একটি টিফো মাঠে এনেছিলেন।
ডার্বির উত্তাপে যাতে কোনও কমতি না হয়, তার জন্য মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে শনিবারের মহারণ জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছে। মোহনবাগান মাঠ ছাড়াও বড় পর্দায় খেলা দেখানো হচ্ছে বারুইপুর, রাজারহাট, সুকান্তনগর, উলুবেড়িয়া, কাদাপাড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। দুঃখজনক হলেও সেই জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার দর্শকসংখ্যা সম্ভবত মাঠের চেয়ে বেশিই হবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.