Advertisement
Advertisement

Breaking News

East Bengal

শক্তিশালী দল গড়েও কেন দুরবস্থা? ব্যর্থতার কারণ খুঁজে পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল

ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকারের পাশাপাশি ইনভেস্টর কর্তা আদিত্য আগরওয়ালও আপাতত সুপার কাপের দিকেই তাকিয়ে।

ISL 2024: East Bengal officials has not a clue why team is failed
Published by: Arpan Das
  • Posted:February 10, 2025 10:53 am
  • Updated:February 10, 2025 3:54 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: দলের ফলে অবশ্যই হতাশ। তবে ভালো দল গড়ার পরেও কেন এরকম খারাপ হচ্ছে, ক্লাব কর্তাদের পাশাপাশি বুঝতে পারছেন না ইনভেস্টর কর্তারাও। ফুটবল বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই বলছেন, এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) দল ভালো হয়েছে। আইএসএলে অন্যান্য দলের থেকে এতটা খারাপ নয় যে, একাদশতম স্থানে থাকতে হবে। তাহলে সমস্যাটা হচ্ছে কোথায়?

ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর, ইমামি কর্তা আদিত্য আগরওয়াল বললেন, “কেউ যদি বলত, আমাদের দল গঠন খারাপ হয়েছে, তাহলে না হয় ব্যর্থতার কারণ বুঝতে পারতাম। মাঝে মাঝে আমাদের দল সত্যিই দারুণ খেলছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই দারুণ খেলাটা প্রতিদিন হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে ভালো খেলছি। তারপর হারিয়ে যাচ্ছি।”

Advertisement

তাহলে এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায় কী? লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “দল কীভাবে এই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে সেটা তো ঠিক করবেন কোচ। সেটা তো ইনভেস্টর কিংবা ক্লাব ঠিক করতে পারে না।”

আইএসএলের অন্যান্য বছরের তুলনায় এই মরশুমের দল ভালো হয়েও কেন এরকম ব্যর্থতার মুখে পড়তে হল, তা নিয়ে একটা ব্যাখ্যা রয়েছে আদিত্য আগরওয়ালের। বললেন, “প্রথম ৬ ম্যাচে হারটাই আমাদের সবচেয়ে খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই সময় অন্তত তিন-চার পয়েন্ট যদি আমাদের হাতে থাকত, পরবর্তী সময়ে প্রথম ছ’য়ে থাকার জন্য আমাদের অনেকটাই সুবিধা হত। কিন্তু পর পর হারার জন্য মানসিকভাবে দলটা সমস্যায় পড়ে যায়। তার উপর কোচ পরিবর্তন হয়েছে। সঙ্গে চোট-আঘাত তো লেগেই আছে। ফলে যখনই দলটা ভালো খেলা শুরু করেছে, তখনই কিছু না কিছু একটা সমস্যা তৈরি হয়ে সব কিছু জটিল হয়ে গিয়েছে। এখন এএফসি আর সুপার কাপের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর তো কোনও উপায় নেই। কারণ, দল ভালো করার জন্য ফুটবলারও পরিবর্তন করেছি। তারপর মাঠের ভিতর কী হবে, সেটা তো বলতে পারব না। কারণ, আমি ফুটবলের টেকনিক্যাল লোক নই। কোচ বলতে পারবেন।”

ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “দলের প্রতিটি ফুটবলার, সে বিদেশি হোক কিংবা ভারতীয়, সবাইকে কোচের পছন্দ মতোই আনা হয়েছে। কোচ হয়তো ‘এ’, ‘বি’ দু’রকম তালিকা দিয়েছেন। এবার কোচের পছন্দ অনুযায়ী প্রথমে আমরা ‘এ’ তলিকাভুক্ত ফুটবলার নিতে চেষ্টা করেছি। না পেলে ‘বি’ তালিকার ফুটবলার নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সবটাই হয়েছে কোচের পছন্দে। ফুটবলার দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ইমামি কিংবা ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের পক্ষে কেউ মাথা গলাননি। তারপরেও কেন ফল ভালো হচ্ছে না, সেটা তো কোচই বলতে পারবেন। আমরা তো কেবল পিছন থেকে সাপোর্ট দিতে পারি। তার বেশি তো আমাদের কিছু করার নেই।”

আদিত্য আগরওয়াল বললেন, “এখন এএফসি আর সুপার কাপের জন্য ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলে অন্তত মরশুমটা ভালো ভাবে শেষ হবে।” দেবব্রত সরকারও তাকিয়ে সুপার কাপের দিকে। “কারণ, এএফসির পরের রাউন্ডে যে শক্তিশালী দলগুলি রয়েছে, এই দল নিয়ে তাদের মোকাবিলা করা খুব একটা সহজ হবে না।” দলের নতুন দু’জন বিদেশি ফুটবলার প্রসঙ্গে লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তার মন্তব্য হল, “সবে তো ওরা এসেছে। তারপর দীর্ঘদিন ম্যাচের মধ্যে ছিল না। দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় তো দিতেই হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement