ছবি: মোহনবাগান সোশাল মিডিয়া।
মোহনবাগান: ১ (ম্যাকলারেন)
ইস্টবেঙ্গল: ০
গঙ্গার তীর হোক বা ব্রহ্মপুত্রের পাড়। ছবিটা বদলাচ্ছে না। আইএসএলে ফের ইস্টবেঙ্গলকে হারাল মোহনবাগান। এই নিয়ে ৯বার। মোহনবাগানকে দেড় মিনিটের মাথায় এগিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাকলারেন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে লড়াই চালায় ইস্টবেঙ্গলও। তাদের ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়। সবুজ-মেরুনের মনবীরও সহজ সুযোগ মিস করেন। ৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান সৌভিক চক্রবর্তী। সেই ধাক্কা সামলে আর ফেরা সম্ভব হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। এই জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৩৫। বেঙ্গালুরুর থেকে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে মোলিনার ছেলেরা। অন্যদিকে ১৫ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানেই পড়ে রইল অস্কার ব্রুজোর দল।
খেলা শেষ- ম্যাকলারেনের একমাত্র গোলে ডার্বি জিতে নিল মোহনবাগান। ফলাফল সবুজ-মেরুনের পক্ষে ১-০। টানা দুটি ডার্বিতে গোল পেলেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হলেন ম্যাকলারেন। আইএসএলের ডার্বির ইতিহাসে এটি দ্রুততম গোল। সেই সঙ্গে আইএসএলে ৯টি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে পরাস্ত করল মোহনবাগান।
৮৮ মিনিট- ম্যাকলারেনের বদলি হিসেবে নামলেন পেত্রাতোস।
৮৬ মিনিট- দশ জনেও লড়াই চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের বক্সের সামনে ভিড় বাড়াচ্ছেন লাল-হলুদের ফুটবলাররা।
৮৩ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে শট স্টুয়ার্টের। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট বিপদ তৈরি করতে পারেনি।
৭৫ মিনিট- কামিংসের বদলে মাঠে প্রবেশ স্টুয়ার্টের। চোট সারিয়ে বহুদিন পর মাঠে ফিরলেন তিনি। স্টুয়ার্টের পাস থেকে কোলাসোর শট বাঁচান গিল।
৬৯ মিনিট- ডেভিডের বদলে নামলেন মহেশ।
৬৪ মিনিট- দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে সৌভিক চক্রবর্তী। এক গোলে পিছিয়ে থাকার সঙ্গে এখন ১০ জনেও খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। কাউন্টার অ্যাটাকে ইস্টবেঙ্গলের অর্ধে ঢুকে পড়েন কোলাসো। শেষ প্লেয়ার হিসেবে তাঁকে ফাউল করেন সৌভিক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
৬০ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন ম্যাকলারেন। কিন্তু তাঁর ক্রস ক্লিয়ার করে দেন ইউস্তেরা।
৪৯ মিনিট- হলুদ কার্ড দেখলেন নিশু কুমার। কোলাসোকে বাধা দেওয়ার জন্য কার্ড দেখলেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার।
শুরু দ্বিতীয়ার্ধ- ক্লেটনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট।
প্রথমার্ধ শেষ- ম্যাকলারেনের দেড় মিনিটের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে মোহনবাগান। পালটা লড়াই চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলও।
৪৫ মিনিট- ফের পেনাল্টির আবেদন ইস্টবেঙ্গলের। বক্সের মধ্যে আপুইয়ার বল হাতে লাগলেও নিশ্চিত পেনাল্টি দিলেন না রেফারি ভেঙ্কটেশ।
৩৯ মিনিট- আপুইয়াকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন সৌভিক। খেলতে পারবেন না পরের ম্যাচ।
৩৬ মিনিট- জিকসনের বাড়ানো বলে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডেভিড। কিন্তু বিপদ হওয়ার আগেই সংগ্রহ করে নেন বিশাল।
৩০ মিনিট- সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। টানা আক্রমণ করছে লাল-হলুদ বাহিনী। পিভি বিষ্ণুর দৌড় থামাতে গিয়ে হলুদ কার্ডও দেখলেন মোহনবাগানের আশিস রাই।
২০ মিনিট- ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারলেন না মনবীর সিং। বা বলা যায় অবিশ্বাস্য সেভ করলেন গিল।
১৫ মিনিট- অলড্রেডের সঙ্গে ট্যাকেল ডেভিডের। পেনাল্টির আবেদন করে ইস্টবেঙ্গল। রেফারি কর্ণপাত করেননি।
১১ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের গোলমুখে টানা আক্রমণ মোহনবাগানের। অল্পের জন্য হেড করতে পারলেন না মনবীর। অন্যদিকে লিস্টনের শট ইউস্তের গায়ে লেগে কর্নার হয়ে যায়।
৬ মিনিট- গোলের সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। বিষ্ণু বক্সের মধ্যে সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারলেন না ক্লেটন।
২ মিনিট- দেড় মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে গেল মোহনবাগান। গোল করলেন ম্যাকলারেন। মাঝমাঠ আশিস রাইয়ের বাড়ানো বল পান জেমি। গতিতে ইউস্তেকে পিছনে ফেলে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন তিনি। আইএসএল ডার্বির দ্রুততম গোল এটি।
সন্ধ্যা ৭:৩০- বল গড়াল আইএসএলের মহারণের। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এবার কি ছবিটা বদলাবে? নাকি লাল-হলুদের বিরুদ্ধে আইএসএলে নবম জয়টি ছিনিয়ে নেবে সবুজ-মেরুন?
সন্ধ্যা ৭:১৫- গুয়াহাটিতে উত্তাপহীন ডার্বি। ১৯ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামের অধিকাংশই ফাঁকা।
সন্ধে ৭টা- ঘোষিত দুই প্রধানের প্রথম একাদশ
মোহনাবাগানের প্রথম একাদশ: বিশাল, টম অলড্রেড, মনবীর সিং, শুভাশিস, কোলাসো, সাহাল, রদ্রিগেজ, ম্যাকলারেন, কামিংস, আশিস রাই, আপুইয়া।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ: গিল, ইউস্তে, নুঙ্গা, হিজাজি, নিশু কুমার, বিষ্ণু, সৌভিক, জিকসন, ক্লেটন, দিয়ামান্তোকোস, ডেভিড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.