ঘরের মাঠে নিভল মশাল, হারের হ্যাটট্রিক করে চাপে ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল: ০
মিনার্ভা পাঞ্জাব: ১ (উইলিয়াম)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা দুটো হেরে হতাশায় ডুবেছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির। তাই মঙ্গলবার ঘরের মাঠে যেনতেনপ্রকারে তিন পয়েন্ট তোলাই ছিল আলেজান্দ্রোর এক ও অদ্বিতীয় লক্ষ্য। কিন্তু সে লক্ষ্য পূরণ হতে দিল না মিনার্ভা পাঞ্জাব। মাঠের বাইরের ‘শত্রু’কে মাঠের ভিতরই পরাস্ত করল তারা। আর সেই সঙ্গে আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় আরও কঠিন হয়ে উঠল লাল-হলুদের কাছে।

[বদলে গেল আইপিএল নিলামের ভেন্যু, ঘোষিত হল দিনক্ষণ]

A stunning goal from William Opuku separates the two sides at full time.

Advertisement

QEB 0-1 MPFC#QEBMPFC #HeroILeague #ILeagueIConquer. pic.twitter.com/69cZ1CXoJh

— Hero I-League (@ILeagueOfficial) December 4, 2018

কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কিছুটা হলেও সমর্থকদের রোষ দলের উপর পড়েনি। অন্য সময় টানা দুই ম্যাচ হারার জন্য কোচ, কর্তাদের মুণ্ডপাত শুরু হয়ে যেত। এমনকী ‘গো-ব্যাক’ ধ্বনিও হয়তো তুলতেন সমর্থকরা। সেদিক থেকে এতদিন ভাগ্যবানই ছিলেন আলেজান্দ্রো। তবে এদিনের হারের পর ছবিটা পালটে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। একদিকে যেখানে পরপর ম্যাচ জিতে বিদ্যুৎ গতিতে এগিয়ে চলেছে চেন্নাই সিটি এফসি, সেখানে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে ইস্টবেঙ্গলের। এদিন গোলকিপার উবেইদের ভুলেই গোল হজম করতে হল তাদের। রক্ষণভাগ ফাঁকা পেয়েই বক্সে ঢুকে পড়েন উইলিয়াম। আর অনেকখানি এগিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন উবেইদ। মইউদ্দিন খানের দুর্দান্ত ক্রস থেকে উইলিয়াম ওপোকুর একমাত্র গোলেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে ফেলে রঞ্জিত বাজাজের দল।

[কোহলিকে আউট করতে সাংবাদিকের দ্বারস্থ অজিরা]

এদিন বেশ ছন্দেই শুরুটা করেছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ছোট ছোট পাসে খেলে বল পজেশনেও এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু গোটা ম্যাচে গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন জবি জাস্টিনরা। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার কাশেমকে দলে ঢুকিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। যে দল পাহাড়ে প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে লিগের শুরুটা জমিয়ে দিয়েছিল, তারাই টানা তিন ম্যাচ হেরে এখন ব্যাকফুটে। এদিনের হার তো শুধুই তিন পয়েন্ট খোয়ানোর কষ্ট নয়, রঞ্জিত বাজাজের দলের কাছে মাথা নত করে মাঠ ছাড়ায় অ্যাকোস্টাদের আত্মবিশ্বাসেও জোর ধাক্কা লাগল। পাঁচ ম্যাচ পর ৬ পয়েন্টই রইল ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে। অন্যদিকে সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল পাঞ্জাবের দল।