Advertisement
Advertisement

Breaking News

মহামেডান

কোফির পাঁচ গোলে ডুবল নেভি, ডুরান্ডে বড় জয় মহামেডানের

ডুরান্ড কাপে ইতিহাস কোফির।

Mohammedan SC beats Indian Navy by 6-2 in Durand Cup
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 10, 2019 9:35 pm
  • Updated:August 10, 2019 9:35 pm

মহামেডান: ৬ (কোফি ৫, মুসা ১)
ইন্ডিয়ান নেভি: ২ (ব্রিটো)
শৌনক চক্রবর্তী: মর্নিং শোজ দ্য ডে। কথার আক্ষরিক অর্থ যে সবসময় নাও খাটতে পারে তার প্রমাণ ডুরান্ডের জমজমাট ম্যাচ। যেখানে মহামেডান স্পোর্টিং নেমেছিল নেভির বিরুদ্ধে। সাদা-কালো ব্রিগেড সব মিলিয়ে ৬-২ গোলে জিতল। বিদেশি স্ট্রাইকার, আইভরি কোস্টের কোফি ডেসমস আর্থার কৌয়াসিরর পাঁচ গোল।

মরশুমের শুরুটা ভাল হয়নি মহামেডানের। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে হার। কলকাতা লিগে এরিয়ানের সঙ্গে ড্র। তবু ছেলেদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। নেভি ম্যাচেই প্রবলভাবে ফিরল সাদা-কালো বাহিনী। বাবলুদার মুখে তাই চওড়া হাসি এখন দেখা যেতেই পারে। যদিও দলের এমন জয়ের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন না মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ডোপ বিতর্কের ধাক্কা, চরম মানসিক অবসাদে ভুগছেন পৃথ্বী শ]

আকাশ মেঘলা ছিল। সকাল থেকে ভ্যাপসা গরম আভাস দিয়েছিল বিকালে বৃষ্টি হতে পারে। মোহনবাগান মাঠের স্টেডিয়ামে সাদা-কালো টি-শার্ট পরেই এসেছিলেন অনেকে। ওরা নেভির সাপোর্টার। প্রথমার্ধে অন্তত তিনটি সহজ গোলের সুযোগ করল নেভি। স্টেডিয়ামে তখন নেভি সাপোর্টার ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি। এই সময় পর্যন্ত মনে হয়েছিল, সুব্রত ভট্টাচার্যের দলের জয় হয়তো এদিনও অধরা থেকে যাবে। ম্যাচ ঘুরে গেল বিরতির পর। এর আগে দু’টি গোল লাইন সেভ করেন মহামেডান ডিফেন্ডার করিম ওমোলোজা।বিরতিতে প্রবল বৃষ্টি নামল। যা চলল গোটা দ্বিতীয়ার্ধ। আর তাতেই মহামেডানের খেলায় যেন ফুল ফুটতে শুরু করল। দলকে দিশা দেখালেন কোফি। হ্যাটট্রিক-সহ পাঁচ গোল তাঁর। অন্য গোলটি আর এক বিদেশি (উগান্ডা) মুদ্দে মুসার।

Advertisement

বিরতির পর যিনি মহামেডান মাঝমাঠ কঁপিয়ে বেড়ালেন। ৫৬ মিনিটে প্রথম গোল কোফির। ব্যবধান বাড়ান মুসা, করিমের ক্রস থেকে। নেভির হয়ে ব্যবধান কমান ব্রিটো পিএম। দূরপাল্লার শটে গোল। এরপরই শুরু কোফি-রাজ। হ্যাটট্রিক তো বটেই, দলের ছয় গোলের মধ্যে পাঁচ গোল করে থামলেন তিনি। একটি পেনাল্টি থেকে। ম্যাচের শেষ দিকে নেভির ব্রিটো পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচের ফল ৬-২ করেন। যা সান্ত্বনা ছাড়া কিছু নয়।

কে এই কোফি? কোথায় থেকে উদয়? জানা গেল, ভারতের মাটিতে গোকুলমে প্রথমে এসেছিলেন। এক মাস থেকে চলে যান। তারপর ২০১৭-তে মালয়েশিয়ার প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সাবা এফএ-র হয়ে খেলেছেন। ১২ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন। ডুরান্ডের ইতিহাসে পাঁচ গোল? অতি কষ্টেও মনে করা গেল না। কেমন লাগছে? কোফি বলছিলেন, “ভাল তো লাগছে। এদেশে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক। দল জিতেছে বলে বেশি তৃপ্তি পাচ্ছি। আমি আজ খুব খুশি।”

[আরও পড়ুন: সারপ্রাইজ গিফট নিয়ে ধোনির ঘরে ফেরার অপেক্ষায় স্ত্রী সাক্ষী]

মহামেডানের কর্তা বিলাল আহমেদ খানের হাত ধরে সাদা-কালো শিবিরে আসা। আইভরি কোস্টের অনূর্ধ্ব ১৭ ও ২০ দলের হয়ে আফ্রিকান নেশনস লিগে খেলেছেন কোফি। প্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগিজ সুপারস্টারের স্টাইলে ব্যাক ভলিতে গোল করতে বেশি পছন্দ করেন। এবার টার্গেট কী? আইভরি কোস্টের লম্বা ছিপছিপে চেহারার বিদেশি বলছিলেন, “আমাদের শুরুটা ভাল হয়নি। একটা টিম সেট হতে সময় নেয়। কোচ চেষ্টা করছেন। ডুরান্ডের শেষ ম্যাচেও জয়ের জন্য ঝাঁপাব।” ম্যাচ শেষে শুকনো মুখে এলেন নেভি কোচ অভিলাস। বলছিলেন, “ছয় গোল খেতে হবে ভাবিনি। বিদেশিরাই ফারাক করে দিল। প্রথমার্ধে অন্তত তিনটে সুযোগ পেয়েছিলাম। কাজে লাগালে রেজাল্ট অন্য হত। বৃষ্টিটাই সব শেষ করে দিল।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ