মোহনবাগান: ২ (সাহাল, সুহেল)
কেরালা ব্লাস্টার্স: ১ (শ্রীকুট্টান)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী, তা বোঝা গেল এদিন। দলে নেই তাবড় বিদেশিরা। এমনকী হেডকোচ মোলিনাও নেই। তাই কোচের দায়িত্বে বাস্তব রায়। তাঁর কোচিংয়েও মোহনবাগান যে ফুটবলটা খেলল, তাতে প্রশংসা করতেই হয়। সুপার কাপে সবুজ-মেরুন বাহিনী ২-১ গোলে হারাল পূর্ণশক্তির কেরালা ব্লাস্টার্সকে।
যদিও ম্যাচের শুরুটা বেশ দাপট দেখিয়ে করেছিল কেরালা। মোহনবাগানের রক্ষণভাগে বারবার ঢুকে পড়ছিল তারা। ৭ মিনিটেই কেরালার বিকাশ ইয়ুমনাম চেষ্টা করেছিলেন বটে। তবে তাঁর ক্রস বিপদ ফেলতে পারেনি সবুজ-মেরুনকে। ১২ মিনিটি ফ্রিকিক পায় মোহনবাগান। তাতেও অবশ্য গোল হয়নি। ২২ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে গোল করেন কেরলের বাগান তারকা সাহাল আবদুল সামাদ। ডান দিক থেকে সালাউদ্দিন আদনানের বাড়ানো ক্রসকে এক্ষেত্রে কৃতিত্ব দিতেই হয়। এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালা। মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকেন জেসুস জিমেনেজ, নোয়া সাদাউইরা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন বাগান গোলরক্ষক ধীরজ সিং। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও প্রত্যয়ী মনোভাব লক্ষ্য করা যায় বাস্তব রায়ের ছেলেদের মধ্যে। যার ফলও মেলে হাতেনাতে। ৫২ মিনিটে গোল করেন কাশ্মীরি তারকা সুহেল ভাট। এই গোলটির জন্য অধিনায়ক দীপক টাংরি এবং আশিক কুরুনিয়ন, দু’জনেরই কৃতিত্ব প্রাপ্ত। বলা যায়, অনবদ্য এক সৃজনশীল ত্রিফলায় গোল দেখল বাগান সমর্থকরা। ম্যাচে ফিরে আসার যাবতীয় চেষ্টা করেছিল কেরালা। ৬৪ এবং ৬৬ মিনিটে ধীরজ সিংকে একেবারে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন জিমেনেজ।
এর পরেও একের পর মিসের প্রদর্শনী চলতে থাকে। ক্রমাগত গোল মিস করে কেরালা ক্রমশ ম্যাচ থেকে দূরে সরে যায়। যদিও ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ৪ মিনিটে (৯৪) শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ দেখে কেরালা। গোল করেন শ্রীকুট্টান। তাঁকে ট্যাকেল করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি মোহনবাগানের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামা নুনো রেইস। যদিও গোটা ম্যাচে তিনি খারাপ খেলেননই। যাই হোক, কেরালা গোল করলেও ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি সবুজ-মেরুনের। সাহাল-সুহেল জোড়া ফলায় কেরালাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল মোহনবাগান। বলা চলে, ‘কাশ্মীর টু কন্যাকুমারী’র দুই তারকাতেই বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নিহতদের গোল উৎসর্গ করেছেন সুহেল আহমেদ ভাট। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “এই গোল কাশ্মীরের ঘটনায় নিহতদের উৎসর্গ করলাম। জঙ্গি হামলা বন্ধ হোক। শান্তি ফিরে আসুক। পরিবারের জন্য চিন্তা হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.