স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্যহীন, দিশাহীন। দু’টি দলই দিকভ্রষ্ট। অন্ধকারের মধ্যে হাতড়ে বেড়াচ্ছে মোহনবাগান-চার্চিল ব্রাদার্স। গত দু’টি ম্যাচে বিপর্যয়ের রেশে যাবতীয় আশা-আকাঙ্খা শেষ দুই দলের। ডার্বিতে হারার পর গোকুলামের সঙ্গে ড্র করে বাকি ম্যাচগুলো মোহনবাগানের কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়মরক্ষার। অন্যদিকে রিয়েল কাশ্মীরের সঙ্গে ড্র ও শিলং লাজংয়ের কাছে হেরে লিগ লড়াইয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে চার্চিল। যদিও খাতায় কলমে গোয়ানিজরা এখনও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা রাখে। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই ভাবনা না আনাই ভাল। চার্চিলের কোচ পিটার গিগিউ তো বলেই দিয়েছেন, “হ্যাঁ, আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের রাস্তায় এখনও আছি ঠিকই। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিচার করলে মানতে হবে, কাজটা খুবই কঠিন। সত্যি বলতে কী, ব্যাপারটা আমাদের হাতে নেই। অন্যান্যদের দিকে তাকিয়ে চলতে হবে। ৪২ পয়েন্ট পর্যন্ত পেতে পারি। অন্যান্য দলগুলো সেখানে চলে যেতে পারে ৪৬ বা ৪৮ পয়েন্টে। তাই, আমরা প্রতিটি ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়েই নামবো।”
মোহনবাগানের কাছে এসবের বালাই নেই। লিগ টেবিলে এখন তারা দাঁড়িয়ে ছ’নম্বরে। ১৫ ম্যাচ খেলে ২২ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পর সমর্থকদের আশা ছিল সুপার কাপে খেলা। সেখানেও সরাসরি খেলতে গেলে প্রথম চারের মধ্যে থাকতে হবে। এখন তাও প্রায় অসম্ভব। দলকে উদ্বুদ্ধ করার তাহলে রাস্তা কোথায়? কোচ খালিদ জামিল জানিয়ে দিলেন, “কোনও কিছু নিয়ে আমরা ভাবছি না। এখন লক্ষ্য একটাই, ইতিবাচক ফলের আশা করা। কোনও অঙ্ক কষছি না। ম্যাচ বাই ম্যাচ ভেবে এগোচ্ছি। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য শনিবার জিতে মাঠ ছাড়া।” প্রথম লেগের খেলায় যুবভারতীতে ৩-০ গোলে জিতে গিয়েছিল চার্চিল। ফিরতি লিগে আবার নিজেদের মাঠে খেলবেন প্লাজা, অ্যান্টনি উলফ, এলডররা। তাই ধরেই নেওয়া যায়, মোহনবাগানের কাছে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার কাজটা অনেক কঠিন।
খালিদ তাই ঠিক করেছেন, ডিফেন্সকে মজবুত করে এগোবেন। সম্ভব হলে পাঁচ ডিফেন্ডারকে খেলিয়ে দিতে পারেন খালিদ। যদিও খালিদ অতীত নিয়ে ভাবছেন না। চার্চিলকে হারাতে তাঁর ভরসা সেই সোনিই। “অতীত ভেবে লাভ নেই। দলের প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রম করছে। সকলেই জেতার জন্য উদগ্রীব। এবার হারানো মনে হয় না সহজ হবে।” সান্ত্বনার সুরে যেন বলে ফেললেন খালিদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.