Advertisement
Advertisement

Breaking News

আজ গোকুলামের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের লড়াই শুরু বাগানের

বাকি সবকটি ম্যাচই জিততে চান খালিদ।

Mohun Bagan to face Gokulam FC
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 30, 2019 10:20 am
  • Updated:January 30, 2019 10:20 am

স্টাফ রিপোর্টার: সুপার ফোরে টিকে থাকার লড়াই বুধবার শুরু করছে মোহনবাগান। আই লিগ পাওয়ার স্বপ্ন আপাতত ধূলিস্যাৎ। এখন লক্ষ্য, সুপার ফোরে যদি ঢুকে পড়া যায়। সেই স্বপ্ন কি পূরণ হবে? এই কাজটাও কঠিন। লিগ টেবিলে মোহনবাগান দাঁড়িয়ে ছ’নম্বরে। ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট। প্রথম চার দলের মধ্যে সবচেয়ে কম পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। ১৩ ম্যাচে ২৫। এক ম্যাচ বেশি খেলেও চার পয়েন্টে পিছিয়ে বাগান। এখন বাকি ছ’টা ম্যাচ জিতলে তবেই মোহনবাগান সুপার ফোরে যেতে পারে। এটা সম্ভব? যে দল ইতিমধ্যে পাঁচ ম্যাচ হেরে আছে, সেই দল বাকি ম্যাচ টানা জিতবে, এটা ভাবাও অন্যায়। তাই আজ থেকে মোহনবাগানের সামনে শুরু অস্তিত্বের লড়াই।

[আর কবে খেলবেন জাতীয় দলে? ডার্বির নায়ক জবিকে নিয়ে প্রশ্ন বিজয়নের]

উলটোদিকে গোকুলাম অবনমনের জায়গায় দাঁড়িয়ে। তারা হারলে অনেকটাই নিচে যাবে। এখন তারা লিগ টেবিলে ন’য়ে। ১৩ ম্যাচ খেলে ১১ পয়েন্ট। তারপর আইজল ( ১৪ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট) ও শিলং লাজং (১৪ খেলে ৭)। ফলে গোকুলামকে বাঁচতে হলে বুধবারের ম্যাচ জেতা জরুরি। গোকুলামের কোচ বিদেশি গিফট রাইকান। তিনি বুঝে গিয়েছেন, ডার্বিতে হারা দলের মানসিকতা কেমন হয়। তাই বলতে শুরু করেছেন, “আমাদের সামনে অন্য পথ খোলা নেই। যেভাবে হোক তিন পয়েন্ট চাই। না হলে অবনমনে চলে যাব। তাই সবাইকে বলেছি, তোমরা সেরাটা দাও। জিততে না পারলে আই লিগ থেকে ছিটকে যাবে।”

Advertisement

[ডার্বির দুঃস্বপ্ন পিছু ছাড়ল না খালিদের, রবিবাসরীয় যুবভারতীতে জ্বলল লাল-হলুদ মশাল]

সাংবাদিক সম্মেলনে কোচের সঙ্গে ছিলেন ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাকোর নবাগত স্ট্রাইকার মার্কোস জোসেফ। ক্রিকেট তাঁর দারুন পছন্দের। তবে গত দু’টো ম্যাচে গোল করেছেন। সেই মার্কোস একপ্রকার হুঙ্কার ছেড়ে দিয়ে গেলেন, “মোহনবাগান ডিফেন্ডারদের খেলা দেখেছি। তারা আমাকে দেখেনি। বুধবার বুঝিয়ে দেব, আমি কে?” কথায় বলে পাঁকে হাতি পড়লে মাছিও লাথি মারে। মার্কোস হাতি না মশা তা কে জানে।
মোহনবাগান কোচ খালিদ জামিল বুঝে গিয়েছেন, সুপার ফোরে দলকে না রাখতে পারলে কোচিং জীবনে ছেদ পড়তে পারে। ফুটবলারদের চেষ্টা করছেন চাঙ্গা করতে। ইউতা প্র‌্যাকটিসে মাঠের পাশে বসে কাটালেন। এমআরআই হয়েছে। ক’দিন বিশ্রাম না নিয়ে উপায় নেই। তাই দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি। ড্যারেনের জায়গায় শিল্টন ডি সিলভা বা অরিজিৎ বাগুই আসতে পারেন। খালিদ বলে গেলেন, “সকলেই পেশাদার। পরিস্থিতি অনুযায়ী সবাই ভাল খেলার চেষ্টা করবে।” জেতা ছাড়া গতি নেই, তাই ডাবল স্ট্রাইকার অর্থাৎ ডিকার সঙ্গী হেনরি। হেনরিও বলে গেলেন, নিজের তাগিদে তাঁকে ভাল খেলতে হবে। না হলে তিনিও ভারতীয় ফুটবলে হারিয়ে যাবেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ