সুকুমার সরকার, ঢাকা: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ঢাকায় ভারত-পাকিস্তান ফুটবল যুদ্ধ। বুধবার সাফ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ভারত-পাকিস্তান মানেই টানটান উত্তেজনা। স্নায়ুযুদ্ধের লড়াই। কিন্তু মাঠে নামার আগে ফুটবলারদের উপর থেকে যাবতীয় চাপ কাটানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ভারতীয় দলের কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন।
অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব সবকিছু মিলিয়ে ভারত সাফ ফুটবলে বরাবরই ‘বাঘ’। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে দর্শকদের কাছে। সে বিষয়টা ভালই জানেন কনস্ট্যানটাইন। আর সেই কারণেই ফুটবলাররা যাতে অতিরিক্ত চাপে না ভোগেন, সে বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। বলেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বলে আলাদা কোনও ব্যাপার নেই। এই ম্যাচকে আর পাঁচটা সাধারণ ম্যাচের মতোই তাঁরা দেখছেন। কোচের কথায়, “আমি জানি, ম্যাচটা দেশবাসীর কাছে স্পেশ্যাল। কিন্তু এইভাবে দেখলে ছেলেরা চাপে পড়ে যাবে। তাই ওদের বলেছি আর পাঁচটা ম্যাচের মতো এটাকে দেখতে। আশা করছি, পাকিস্তানকে হারিয়ে আমরা ফাইনালে উঠব।”
ভারতীয় দলে বেশিরভাগ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলাররা থাকলেও সিনিয়র-জুনিয়রদের যুগলবন্দিতেই শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের বিরুদ্ধে এসেছে জয়। ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ভাল ছন্দে মেন ইন ব্লু। তাছাড়া পরিসংখ্যান তাতাচ্ছে ভারতীয়দের। তারপরও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মেজাজই আলাদা। যদিও ফুটবলের ময়দানে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে ভারতের একচ্ছত্র প্রাধান্য। দুই দেশের ২৩ বার সাক্ষাতে ভারত জয়ী ১৪টি ম্যাচে। পাকিস্তান জিতেছে তিনবার এবং ড্র হয়েছে ছ’বার। কাজেই মানসিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে পাকিস্তান। তবে তিন বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ পাকিস্তান ফিরেই এশিয়ান গেমসে জিতেছে নেপালের বিরুদ্ধে। আর সেটাই অক্সিজেন জোগাচ্ছে তাদের শিবিরে। তাছাড়া ডেনমার্কের বিভিন্ন লিগে খেলা ৫ ফুটবলার যোগ দেওয়ায় শক্তি বেড়েছে পাকিস্তানের। শারীরিকভাবেও পাক ফুটবলাররা অন্যদের থেকে এগিয়ে।
এদিন দু’দল মুখোমুখি হওয়ার আগে এ রাজ্যের মতোই আবার রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যদিও সেসব নিয়ে চিন্তিত নয় দুই শিবির। তাদের পাখির চোখ এখন সাফ কাপের ফাইনালে পৌঁছনো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.