অস্ট্রেলিয়া: ২৩০/১০ (হ্যান্ডসকম্ব-৫৮)
ভারত: ২৩৪/৩ (কোহলি-৪৬, ধোনি- ৮৭*, কেদার-৬১*)
৭ উইকেটে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাহি মার রহা হ্যায়।’ আরও একবার এই স্লোগানেই মুখরিত হল ডনের দেশ।
অ্যাডিলেডে সেই চেনা ছন্দের ‘ফিনিশার’ ধোনিকে দেখেছিল গোটা বিশ্ব। আর মেলবোর্নে ক্যাপ্টেন কুল বুঝিয়ে দিলেন তিনি এখনও একাই একশো। ব্যাট হাতে কার্যত একাই দলকে সিরিজ জিতিয়ে দিলেন ধোনি। নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘোষে দলে তাঁর গুরুত্ব প্রমাণ করে দিলেন এক্কেবারে ঠান্ডা মাথায়।
[ফের কাঠগড়ায় টেবিল টেনিস তারকা, বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ স্ত্রীর]
প্রথম দুটো ওয়ানডে-তে টস হেরে রান তাড়া করতে হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার তীব্র গরমে যা অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রথম ওয়ানডে-তে মুখ থুবড়ে পড়লেও দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে সমতায় ফিরেছিল ভারত। বিরাট-ধোনি শোয়ের সাক্ষী হয়েছিল অ্যাডিলেড। তাই মেলবোর্নে বিরাট টসে জিতলে যে ব্যাটিং নেবেন, তেমনটাই ধারণা ছিল ক্রিকেট মহলের একাংশের। তবে প্রাক্তন অজি তারকা ডিন জোন্সের গলায় অন্য কথা শোনা গিয়েছিল। টিম ইন্ডিয়ার আগ্রাসন দেখে তিনি ভালই বুঝে গিয়েছিলেন, রান তাড়া করার ব্যাপারে এই দলের জুড়ি মেলা ভার। শুক্রবার কোহলিও টস জিতে সেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্তই নিলেন। যা দুর্দান্তভাবে ক্লিক করে গেল। ধোনি ব্যাট হাতে ঝলসে ওঠার আগে অবশ্য অজি ব্যাটিং লাইন-আপকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে দিয়েছিলেন যুঝবেন্দ্র চাহাল। একাই তুলে নেন ছ’টা উইকেট। দুটি করে উইকেট পান ভুবনেশ্বর কুমার এবং মহম্মদ শামি। যে দল প্রায় তিনশো রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের ক্ষমতা রাখে, তাঁদের কাছে এদিনের টার্গেট ছিল নেহাতই শিশু। ব্যাট করতে নেমে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
What a run-chase. The Dhoni-Jadhav duo take #TeamIndia to a thumping 7-wicket victory. India take the series 2-1 🇮🇳🇮🇳 #AUSvIND pic.twitter.com/vb4fZ0xwR9
— BCCI (@BCCI) January 18, 2019
রোহিত শর্মা ব্যর্থ হওয়ার পর ফের বাইশ গজে দাপট শুরু হয় বিরাট-ধোনির। ৪৬ রানে ক্যাপ্টেন কোহলি আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলে শুরু হয় ধোনি-যাদব শো। অজি বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলেন দুই তারকা। আসন্ন বিশ্বকাপে যে ধোনি ছাড়া দলকে ভাবা অসম্ভব, তা আরও একবার নিজের পারফরম্যান্সেই বুঝিয়ে দিলেন মাহি। হাজার বিতর্ক ও সমালোচনা মুছে অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ পর্ব মুখরিত হল ধোনি বন্দনায়। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজ জিতেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়ছে ভারত। বিশ্বকাপের আগে যা বিরাট অ্যান্ড কোংয়ের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।