সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ কে বেশি চাপে থাকবেন? ইতালিয়ান কোচ মার্সেল্লো লিপ্পি না ভারতের কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন? ২০০৬-এ ইতালিকে বিশ্বকাপ দেওয়া কোচ লিপ্পি এখন চিনের দায়িত্বে। মাত্র তিন মাস বাকি। তারপর শুরু হবে এশিয়ান কাপ। চিন-ভারত দু’টি দেশ-ই এশিয়ান কাপ খেলবে। পাহাড়প্রমাণ চাপের সামনে দাঁড়িয়ে লিপ্পি। না জিততে পারলে লিপ্পির সমালোচনায় মুখর হবে চিনারা। সেখানে ড্র করতে পারলেই ম্যাচ জেতার সমান হবে কনস্ট্যানটাইনের কাছে।
[মেসি এক নম্বর হতেই বন্ধ ভোটিং! বিতর্কে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ]
২১ বছর পর ভারত-চিন ফুটবলে মুখোমুখি হচ্ছে। অতীতে ১৭বার দু’টি দেশ মুখোমুখি হয়েছে। যারমধ্যে একবারও জিততে পারেনি ভারত। শুধু মাত্র পাঁচটা ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ’৯৭ -এর কোচিতে নেহরু কাপের শেষ সাক্ষাৎকারেও চিন ২-১ ব্যবধানে জিতেছে। আজ খেলা চিনের সুঝুউতে। এশিয়া কাপেই ১১বার খেলেছে চিন। চ্যাম্পিয়ন হয়নি ঠিকই। কিন্তু দু’বার রানার্স ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে একাধিকবার। সেখানে ভারত যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে মাত্র তিনবার। যারমধ্যে ১৯৬৪-তে রানার্স হয়েছিল। ১৯৮৪ ও ২০১১-তে গ্রুপ লিগেই মুখ থুবড়ে পড়ে।
[নির্বাচনের আগেই উপহার টুটু শিবিরের, মোহনবাগানে ফিরছেন সোনি]
ট্র্যাক রেকর্ড দেখে লিপ্পির তো চিন্তার কোনও কারণ থাকার কথা নয়। তবু তিনি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। তার কারণ একটাই, এই মুহূর্তে ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে চিন। কাতারের কাছে ০-১ গোলে হেরেছে। গোলশূন্য ড্র করেছে বাহরিনের সঙ্গে। এশিয়া কাপের আগে যদি চিনারা এই ম্যাচ জিততে না পারে তাহলে পুরো দায় বর্তাবে ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা কোচের ওপর। স্টিফেনের কাছে এই ম্যাচটা ফুটবলে পেনাল্টি মারার মতো। জিতলে কথাই নেই। ড্র করলেও ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা উচ্ছ্বাসের সাগরে ভাসবেন। তাই স্টিফেন বলছিলেন, “ফুটবলে চিন অনেক শক্তিশালী। তারা চাইবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে। আক্রমণাত্মক খেলতে চাইবে। তবে আমরা জেতার জন্যই ঝাঁপাব। যদি হারিও তাহলে লক্ষ্য থাকবে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে ম্যাচটাকে দেখার।” সুনীল ছেত্রী মনে করছেন, চিনকে হারানো অসম্ভব নয়। তারজন্য কিছু টোটকাও তিনি বাতলে দিয়েছেন। “তাদের বেশি জায়গা দেওয়া চলবে না। গোল করার সুযোগ পেলে তাকে সদ্ব্যবহার করতেই হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.