স্টাফ রিপোর্টার: পুজোর আগেই সমর্থকদের উপহার দিতে চলেছেন বাগান কর্তারা। সব ঠিকঠাক হলে ইনভেস্টরের নাম ঘোষণা করা হবে। হাত গুটিয়ে বসে নেই ইস্টবেঙ্গলও। এটিকে কর্তাদের ইচ্ছেতে শনিবার কলকাতা টার্ফ ক্লাবে এটিকের অংশীদার উৎসব পারেখ এবং সিইও রঘু আইয়ারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ক্লাব সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্ত। আলোচনা হলেও দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি হবে কী না, কেউ বলতে পারছেন না।
গত মরশুমে আইএসএল সংগঠকদের আগ্রহে ক্লাবের ইনভেস্টর নিয়ে এটিকের সঙ্গে কথা অনেকদূর টেনে নিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু এটিকের পক্ষ থেকে যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তা মেনে চললে ক্লাবের স্বাধীনতা বা নিজস্বতা কিছুই থাকত না। তাই এটিকে চাইলেও বাগান কর্তারা চাননি ক্লাবের সব কিছু এটিকের হাতে দিয়ে নিজেদের জায়গা ছাড়তে। ফলে নতুন করে ইনভেস্টর খোঁজা শুরু হয়। সেই খোঁজ মিলেছে। শোনা যাচ্ছে, যে ইনভেস্টরের সঙ্গে বাগান চুক্তি করছে, তার কোনও কিছু অজানা নয় এফএসডিএল কর্তৃপক্ষের। যার জন্য বেশ কয়েকবার মুম্বই গিয়ে এফএসডিএল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে মিটিংও করে এসেছেন বাগান কর্তারা। এ কথা জানেন, ফেডারেশন কর্তারাও।
সব কিছু যখন চূড়ান্ত, তখন কেন ক্লাব বা ইনভেস্টরের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কিছু ঘোষণা করা হচ্ছে না? ঘটনা হল, ক্লাবের সঙ্গে ইনভেস্টর যুক্ত হলেও বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে মোহনবাগান। যেমন ক্লাবের নাম, জার্সির রঙ, লোগোর বদল হবে না। দেখা হচ্ছে, চুক্তির পরও মোহনবাগানের যেন স্বকীয়তা বজায় থাকে। সমর্থকরা যেভাবে ক্লাবকে দেখে এসেছেন, ইনভেস্টরের সঙ্গে চুক্তির পরেও তেমনই থাকবে। বাগান কর্তাদের দাবি মেনে নিয়েছে ইনভেস্টররা। তাই চুক্তিপত্র তৈরি করতে সময় লাগছে। ইনভেস্টর ঘোষণার দিন নাকি জানানো হবে জার্সির স্পনসর হিসাবে বড় ব্র্যান্ডের নাম। এসব কিছু ভাল খবর সমর্থকদের কাছে আসবে পুজোর উপহার হিসাবে।
মোহনবাগানে যখন নতুন করে আলো দেখা যাচ্ছে, তখন ইস্টবেঙ্গল আঁধার কাটেনি। এফএসডিএল ও এটিকে কর্তাদের অনুরোধে আলোচনায় বসল ইস্টবেঙ্গল। তবে সামনের মরশুমে স্পনসরশিপ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এখনও অন্ধকারে। কোয়েস নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অভিজ্ঞতা যেহেতু ভাল নয়, তাই এটিকে ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। এটিকে আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে নিজেদের শর্ত সাজাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যদি দু’পক্ষ একটা জায়গায় এলে মিটিংয়ে বসবেন এটিকে কর্নধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
এটিকে কর্তার সঙ্গে শনিবারের আলোচনা প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আমাদের প্রেসিডেন্ট এটিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কী না, জানা নেই। কোয়েস আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে এমন খবর আমার কাছে নেই। আমি চাই কোয়েস থাকুক। এটুকু বলতে পারি, কোয়েস ছেড়ে গেলে ক্লাব স্পনসরহীন হবে না। যখন কিংফিশার চলে গিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে কোয়েস চলে এসেছে। যারা আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চাইছে, প্রত্যেকের শর্ত খতিয়ে দেখা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.