Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিএবি নির্বাচন

আসন্ন সিএবি নির্বাচনে রয়েছে একঝাঁক চমক, ‘একুশে আইনে’ বেসামাল সংস্থা

আগে যা কখনও হয়নি, তেমনটাই এবার হতে চলেছে!

New rules will be inplemented for the upcoming CAB election
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 13, 2019 5:41 pm
  • Updated:September 13, 2019 5:41 pm

স্টাফ রিপোর্টার: পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতাদের কায়দায় সিএবি কর্তারা বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাত জোড় করে ভোট চাইছেন, এ জিনিস আজ পর্যন্ত বঙ্গ ক্রিকেটে কেউ দেখেছে না শুনেছে? কেউ দেখেনি। শোনেওনি। কিংবা ধরা যাক লোকসভা বা রাজ্যসভা ভোটের আদলে প্যামফ্লেট বিলি? অথবা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ালে পোস্টার সাঁটিয়ে বলা- ‘অমুককে ভোট দিন!’ সিএবি নির্বাচনে কখনও কেউ দেখেছে না শুনেছে? কেউ দেখেওনি। শোনেওনি।

যা আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি বা শোনেনি, আসন্ন সিএবি নির্বাচনে সেরকম কিছু ঘটলে অবাক হওয়ার থাকবে না! কারণ সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসনিক কমিটি (সিওএ) যে নির্বাচনী আইনকানুন পাঠিয়েছে সিএবিকে তাতে শাসকগোষ্ঠী এবং বিপক্ষ- চাইলে দু’পক্ষই এ জিনিস করতে পারে! যা যা বলা হল, সব!

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লির অনুষ্ঠানে ফের কাছাকাছি বিরাট-অনুষ্কা, ভাইরাল ভালবাসার ভিডিও]

প্রথমত, এবারই প্রথম পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্বাচনী পদ্ধতি চালু হচ্ছে সিএবিতে। যা নির্বাচনের আগেই তুলে দেওয়া হবে সংস্থার ওয়েবসাইটে। সিএবি নির্বাচনের জন্য নিযুক্ত নির্বাচনী অফিসার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায় বলছিলেন, “আসলে আগে সিএবি নিজস্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন করত। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপটটা আলাদা। এবার নির্বাচনী পদ্ধতি তৈরি করে দেওয়া হবে।” রাতের দিকে সিএবি কর্তাদের কেউ কেউ বলছিলেন, সিওএ মারফত যে নির্বাচনী আইনকানুন পেয়েছে সিএবি, সেটা যদি প্রার্থীরা মানতে শুরু করেন, তাহলে লোকের কাছে হাস্যস্পদ হয়ে যাবে সিএবি! অথচ কিছু বলারও থাকবে না। কারণ আইনি অধিকার তাঁদের এখন আছে। অধিকার শুধু নয়। বেশ কিছু বিধিনিষেধও আছে। যেমন, নির্বাচনী প্রচার চাইতে গিয়ে কোনও প্রার্থী সদস্যদের উৎকোচ দিতে পারবেন না। নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের গাড়ি করে ভোটকেন্দ্রে বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বা দিয়ে আসতে পারবেন না। প্রক্সি ভোটিং চলবে না। চলবে না নির্বাচনী পোস্টার বা প্যামফ্লেট নির্বাচন কেন্দ্রের আশেপাশে দেওয়া। আর সর্বশেষ, ভোটকেন্দ্র বা তার আশেপাশে কোনও প্রচার দপ্তর বসানো যাবে না। বিস্মিত সিএবি কর্তারা বিহ্বল ভাবে জিজ্ঞাসা করছেন, কবে সিএবি নির্বাচনে ইডেন গার্ডেন্সে প্রচার দপ্তর বসেছে? কবে গাড়ি করে সদস্যদের নিয়ে এসেছেন প্রার্থীরা? সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে কীভাবে ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনকে
গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে?

গুলিয়ে যাওয়ার বিষয়বস্তু আরও আছে। যেমন, সত্তরোর্ধ্বদের ভোটাধিকার থাকবে কি না? সিএবি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বলেছিলেন যে, তাঁদের ভোটাধিকার থাকবে। কিন্তু সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায় বললেন, তিনি নিশ্চিত নন। তবে এটুকু বললেন, যে ১৮ জনের প্লেয়ার তালিকা বোর্ড থেকে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন। একই রকম বিভ্রান্তি চলছে শাসকগোষ্ঠীর প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে। বৃহস্পতিবার যেমন শোনা গেল, নতুন পদাধিকারীদের মধ্যে তাঁদের কোনও প্রতিনিধি থাকছে না বলে নাকি চটেছেন সিএবি’র ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যরা। তাঁরা নাকি শাসকগোষ্ঠীর লোকজনকে বলে আসেন, তাঁদের মনোনীত কেউ নতুন পদাধিকারীর তালিকায় না থাকলে নির্বাচন বয়কট করবেন!

Advertisement

[আরও পড়ুন: অবসর নিচ্ছেন ধোনি? ‘গেম অফ থ্রোন’-এর স্টাইলে গুজব ওড়াল সিএসকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ