জোড়া পদক হাতে বাংলার সোনার মেয়ে মৌমিতা।
স্টাফ রিপোর্টার: রবিবার দুপুরে দেরাদুনের মহারানা প্রতাপ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। ১০০ মিটার হার্ডলসে রুপো পেয়েও কোনওরকম উদযাপন করলেন না মৌমিতা মণ্ডল। বরং দৌড় দিলেন কমপ্লেক্সের আরেক দিকে। যেখানে ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে লং জাম্পের আসর। হার্ডলসের রেশ না কাটার জন্যই হয়তো প্রথম লাফটা সঠিকভাবে দিতে পারলেন না। কিন্তু তারপরই বদলে গেল ছবিটা। দুরন্ত এক লাফে সব চ্যালেঞ্জ ছাপিয়ে এই বঙ্গ কন্যা জিতলেন সোনার পদক।
অবশ্য এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া নতুন কিছু নয় মৌমিতার কাছে। হুগলির বলাগড়ের অ্যাথলিট বড়ই হয়েছেন অভাবের হার্ডল টপকে টপকে। বাবা সুভাষচন্দ্র মণ্ডল চা বিক্রেতা। তবে স্বল্প আয়ের সংসারে মেয়ের খেলাকে অবহেলা করেননি। পরিবারের ভরসা আর নিজের জেদই মৌমিতাকে ১০০ মিটার হার্ডলস আর লং জাম্পের মতো দু’টো কঠিন ইভেন্ট একসঙ্গে করার সাহস দেয়। দেরাদুন থেকে ফোনে বাংলার সোনার মেয়ে বলেন, “আমার কাছে পরপর দু’টো ইভেন্টে নামা নতুন কিছু নয়। এর আগে ভুবনেশ্বরে জাতীয় অ্যাথলেটিক্সেও নেমেছি। তবে সেবার লং জাম্পে আমার নামটা পরের দিকে থাকায় দু’টো ইভেন্টের মাঝে একটু সময় পেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে আমার নাম চার নম্বরে রাখা হয়েছিল। বলেছিলাম, একটু পিছিয়ে দিতে। আয়োজকরা শোনেনি। ফলে হার্ডলস শেষ করেই দৌড়াতে হয়েছিল লং জাম্পের জন্য।”
আগামী বছর কমনওয়েলথ গেমস আর এশিয়ান গেমস। তিন বছর পর অলিম্পিক। এখন থেকেই তিন প্রতিযোগিতাকে পাখির চোখ করছেন মৌমিতা। তাঁর কথায়, “আগামী কয়েক বছর পরপর বড় প্রতিযোগিতা আছে। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে চাই। নিজের পারফরম্যান্স আরও ভালো করতে হবে আমাকে।” তার আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ করে নেওয়াই রয়েছে তাঁর ভাবনায়। ভুবনেশ্বরের মিটে নীরজ চোপড়ার পরামর্শ পেয়েছিলেন। নিজের প্রিয় অ্যাথলিটের মতোই অলিম্পিক পোডিয়ামে উঠতে চান মৌমিতা।
অন্যদিকে, এদিন জিমন্যাস্টিক্সের টিম ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আরও একটি সোনা এল বাংলার ঝুলিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.