Advertisement
Advertisement

Breaking News

বক্সার

চেয়ারে বসেই সংজ্ঞাহীন, অনুশীলন শেষে মৃত্যু বাংলার প্রতিশ্রুতিমান বক্সারের

রাজ্যস্তরে বক্সিং লড়েছেন তিনি, একাধিক মেডেল জিতেছেন জাতীয় স্তরেও।

Promising Boxer Jyoti Pradhan dies myteriously in Kolkata
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 4, 2019 9:01 am
  • Updated:May 20, 2020 10:13 am

স্টাফ রিপোর্টার :  বক্সিং রিং থেকে বেরিয়ে চেয়ারে। সেখান থেকে হাসপাতাল। সব মিলিয়ে বড়জোর আধঘণ্টা। তার মধ্যেই শেষ হয়ে গেলেন উদীয়মান এক তরুণী বক্সার। মৃতের নাম জ্যোতি প্রধান। আদতে দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা ওই তরুণী কলকাতার ভবানীপুরে ভাড়া থাকতেন। বুধবার ভবানীপুরের এক ক্লাবে বক্সিং প্র‌্যাকটিস শেষে তিনি আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, উনি আর বেঁচে নেই। মৃত্যুর কারণ ‘কার্ডিও মায়োপ্যাথি।’ অর্থাৎ, হৃদযন্ত্র অচল হয়ে মৃত্যু।

[আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য সাফল্য, শেরপা ছাড়াই কাংলা টার্বোর শিখর ছুঁলেন বাংলার ২ শিক্ষক]

যোগেশচন্দ্র চৌধুরি কলেজের ছাত্রী জ্যোতি ছোট থেকেই বক্সিং, তাইকোন্ডোর ভক্ত। অলিম্পিক মেডেল জয়ী বক্সার মেরি কম তাঁর আদর্শ। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বক্সিং প্র‌্যাকটিসের শুরু। এরপর ধীরে ধীরে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা। রাজ্যস্তরে বক্সিং লড়েছেন জ্যোতি। জাতীয় স্তরে একাধিক মেডেল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক আঙিনায় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু আচমকাই এমনটা হবে ভাবতে পারছেন না তাঁর পরিবারের লোকেরা। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই জন্ডিস হয়েছিল জ্যোতির। ফলে টানা অনেকদিন প্র‌্যাকটিস করতে পারেননি তিনি। ফের পুরনো জায়গায় নিজেকে নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। বুধবার বিকেল থেকেই চলছিল রিংয়ের মধ্যে প্র‌্যাকটিস ম্যাচ। তিন মিনিট করে বারো রাউন্ডের অনুশীলন। গ্লাভস, বক্সিং হেলমেট পরেই প্র‌্যাকটিস করছিলেন জ্যোতি।

Advertisement

সাধারণত বক্সিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী মাথার পিছনে, কোমরের নিচে আঘাত করা বারণ। তা দেখার জন্য বক্সিং ম্যাচে রেফারি থাকেন। জ্যোতি সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি ভুল জায়গায় আঘাত লাগার কারণেই লুটিয়ে পড়েছেন প্রতিশ্রুতিমান বক্সার? যদিও এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন ক্লাবের সম্পাদক অসীম হালদার। তিনি জানিয়েছেন, জ্যোতি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবান বক্সার। এদিন ক্লাবে বক্সিং প্র‌্যাকটিস চলাকালীন রেফারিও ছিলেন সেখানে। প্র‌্যাকটিসে কিছুই হয়নি। প্র‌্যাকটিস শেষে জ্যোতি চেয়ারে বসে ঘাম মুছছিলেন। আচমকাই তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। ক্লাবে তার সতীর্থরা প্রথমটায় বুঝতে পারেননি। চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু লাভ হয়নি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, প্রাণ নেই জ্যোতির দেহে। 

Advertisement

এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন আকস্মিক মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। গত বছরেই প্র‌্যাকটিস করতে করতে মাঠেই লুটিয়ে পড়েছিলেন তরুণ ক্রিকেটার। টালা পার্কে প্র‌্যাকটিস শেষে আচমকা মাঠে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনিকেত শর্মা। সে সময় আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

[আরও পড়ুন: বাবার মৃত্যুতেও অবিচল! দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে গেলেন মিজো তারকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ