Advertisement
Advertisement

Breaking News

গোয়ায় দিনের পর দিন যৌন নিগ্রহ, কোচের লালসার শিকার বাংলার সোনাজয়ী সাঁতারু

নাবালিকার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে রিষড়া থানা।

Promising teen swimmer faced molestation from her coach

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 4, 2019 9:40 pm
  • Updated:September 4, 2019 9:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  গত ৬ মাস ধরে যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বাংলার এক প্রতিশ্রুতিমান কিশোরী সাঁতারু। নিজের কোচই অশ্লীল অশালীন আচরণ করছেন তাঁর সঙ্গে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগই এনেছেন ওই কিশোরী। তবে আগোচরে হওয়া ওই ঘটনাকে সবার সামনে তুলতে ধরার জন্য অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন ওই কিশোরী। নিজেই নিজের মোবাইলে কোচের যৌন হেনস্তার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেছেন। কারণ, সেই ভিডিওই তাঁর প্রতি হওয়া দীর্ঘ দিনের অশালীন আচরণের জ্বলন্ত প্রমাণ। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেই সাহায্য চাইলেন বাংলার প্রতিশ্রুতিমান ওই সাঁতারু। আর  সেই কোচের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করতে অনীহা দেখায় রিষড়া থানা।   

[আরও পড়ুন: মূক ও বধির কিশোরকে নির্যাতন, হোমের বাইরে বিক্ষোভ পরিবারের]

ফাঁস হওয়া সেই ভিডিওয় পরিষ্কার দেখা গিয়েছে, আগে থেকেই ঘরের একটি জায়গায় ভিডিও রেকর্ডার অন করে মোবাইল রেখে দিচ্ছেন ওই কিশোরী। তারপর ঘরের দরজার দিকে এগিয়ে যান তিনি। খোলা দরজা দিয়ে এরপর ওই কোচকে ঢুকতে দেখা যায়। কিশোরীর ডান পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধা। কোচ এসে প্রথমে সেই চোটের জায়গাটা দেখলেন। তারপর নানা ভাবে কিশোরীর সারা গায়ে, গোপনাঙ্গে স্পর্শ করলেন। কিছুক্ষণ বাদে তিনি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপর যথারীতি মোবাইলের ভিডিও রেকর্ডার অফ করে দেন কিশোরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর সত্য-মিথ্যা যদিও যাচাই করা হয়নি।

Advertisement

কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে বর্তমানে চূড়ান্ত হতাশার শিকার। অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন হেনস্তার শিকার হওয়া ওই সাতারু। কারও সঙ্গে কথা বলাও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। অন্য একটি ভিডিওতে প্রতিশ্রুতিমান ওই কিশোরী সাঁতারুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘গোয়ায় আসার পর থেকেই স্যর আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিলেন। আমি প্রতিবাদ জানালে কাউকে বলতে নিষেধ করতেন। ভয় দেখাতেন আমার কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আমি ভয়ে কাউকে কিছু বলতাম না। কিন্তু, এই নোংরামি আমার পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সব কিছু ফাঁস করার সিদ্ধান্ত নিই। এখন আমি সাহায্য চাইছি।’’ অন্যদিকে বাংলার নামী সেই কোচ বেশ প্রভাবশালী। তাই কোনওরকম পদক্ষেপ নিতে ভয় পাচ্ছেন কিশোরীর পরিবার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৬ বছর ধরে বিনা পয়সায় ছাত্র পড়ান পুরুলিয়ার এই শিক্ষক]

যদিও গোয়া থেকে ফিরে তাঁরা সোমবার রাতে রিষড়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান বলে জানান ওই কিশোরীর বাবা। থানার কর্মীরা অভিযোগ না নিয়ে তাদের গোয়ায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন বলে দাবি তাঁদের। এ ব্যাপারে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার জানন, ‘‘রিষড়া থানাকে আমি গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছি। ওই কিশোরী যদি অভিযোগ জানাতে চান, তা হলে তিনি যেন রিষড়া থানায় যান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হবে। কেন থানা প্রথমে অভিযোগ নেয়নি, সেটা খতিয়ে দেখছি আমরা।’’    

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ