Advertisement
Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেটেও #MeToo-এর ছায়া, অভিযুক্ত বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি

সাতদিনের মধ্যে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্যানেলের।

Sexual harassment against BCCI CEO Rahul johri
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:October 14, 2018 12:28 pm
  • Updated:October 14, 2018 12:28 pm

স্টাফ রিপোর্টার: অর্জুন রণতুঙ্গার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের মারাত্মক অভিযোগ দিয়ে ‘মি টু’ ঝড়ের ক্রিকেটে ঢোকা শুরু। এবার তাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ল ভারতীয় ক্রিকেটও। ভারতীয় বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরির বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের মারাত্মক অভিযোগ উঠে গেল। এতটাই যে, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক প্যানেলের কাছে সাত দিনের মধ্যে ‘কীর্তি’র জবাবদিহি করতে হবে জোহরিকে। সেই উত্তরের ভিত্তিতে ঠিক হবে তাঁর ভবিষ্যৎ।

[ রণতুঙ্গার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ভারতীয় মহিলার]

Advertisement

শনিবার লেখিকা হরনীধ কৌরের করা টুইট থেকে বিতর্কের শুরু। নিগৃহীতা নিজে টুইট করেননি। নিজের নামও তিনি গোপন রেখেছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্য নিজের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করে দেন হরনীধ। যেখানে নির্যাতিতা লিখে দেন,  ডিসকভারি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় জোহরি তাঁর সঙ্গে জঘন্য আচরণ করেছিলেন। ওই মহিলার অভিযোগ, নানা ছুতোয় জোহরি তাঁকে কফি খেতে ডাকতেন। রীতিমতো জোরাজুরি করতেন। এ রকমই একদিন কফির আমন্ত্রণে গেলে তাঁকে নিজের বাড়িতে ডাকেন বর্তমানে বোর্ড সিইও। ভদ্রমহিলা ভেবেছিলেন যে, জোহরির স্ত্রী বাড়িতে আছেন। কিন্তু গিয়ে আবিষ্কার করেন যে, তিনি নেই। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে নাকি তাঁর উপর যৌন নিগ্রহ চালান জোহরি! পুরো ঘটনা বিবরণ করে হরনীধ এরপর লিখে দেন, ‘রাহুল জোহরি, তোমার সময় শেষ।’

Advertisement

বোর্ড সিইও পদে জোহরির সময় সত্যি শেষ কি না, সময় বলবে। আপাতত বোর্ড সিইও-র বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ল সিওএ। সিওএ প্রধান বিনোদ রাই বলেছেন, জোহরিকে পুরো ব্যাপারটা বিস্তারিত জানাতে হবে। তারপর লিগ্যাল টিম তা নিয়ে আলোচনা করবে। ততদিন অবশ্য তাঁর  ক্ষমতা কিছু কমানো হচ্ছে না।এটাও বলা হল, জোহরির নামে যে যৌন নিগ্রহের বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে, তা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন সময়ে নয় ঠিকই। কিন্তু তার পরেও জোহরির কাছ থেকে এই ঘটনার জবাবদিহি চাইবে বোর্ড। সাত দিনের মধ্যে। মুশকিল হল, এতে খুব একটা লাভ যে হয়েছে, তা নয়। জোহরি বোর্ড সিইও হয়ে আসেন ২০১৬ সালে। ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁর বিরুদ্ধে বোর্ডের কাছে যৌন হেনস্থা নিয়ে একটা অভিযোগ জমা পড়ে। সেখানে বলা হয়েছিল, পূর্বের চাকরিতে যৌন নিগ্রহ ঘটিয়েছেন জোহরি। বোর্ড তখনকার মতো ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দেয়নি। জোহরি নিজে বলেছিলেন, সব মিথ্যে। তার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। পরে বিহার ক্রিকেট সংস্থার কর্তা আদিত্য বর্মাও অভিযোগ এনেছিলেন যে, বোর্ডের এক উচ্চপদস্থের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আছে। বলা হচ্ছে, সিওএ এত দিন কেন গুরুত্ব দেয়নি এ ব্যাপারে?  আগামী ১৭ এবং ১৮ অক্টোবর আইসিসির চিফ একজিকিউটিভদের বৈঠক ছিল। এবার প্রশ্ন, জোহরির এই অবস্থায় সেখানে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন?

[ ফের শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে #MeToo-এর ছায়া, এবারে বিদ্ধ লাসিথ মালিঙ্গা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ