Advertisement
Advertisement

Breaking News

Brij Bhushan Sharan Singh

মহিলা কুস্তিগিরকে আশ্বাস দিয়েও ‘মৌন’ মোদি! চার সাক্ষীর বয়ান ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে

মোট ১২৫ জন সাক্ষ্য দেবেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে।

Statement of 4 witnesses against Brij Bhushan Sharan Singh | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:June 4, 2023 12:35 pm
  • Updated:June 4, 2023 12:53 pm

স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: যত সময় যাচ্ছে, তত চাপে পড়ছেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং (Brij Bhushan Sharan Singh)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে চারজন সাক্ষী নিজেদের বয়ান রেকর্ড করেছেন দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) কাছে।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে দিল্লি পুলিশ যে তদন্ত শুরু করেছে, তাতে প্রাথমিকভাবে ১২৫ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা। যাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই একজন অলিম্পিয়ান, একজন কমনওয়েলথ সোনাজয়ী, একজন আন্তর্জাতিক রেফারি এবং একজন রাজ্যস্তরের কোচ ব্রিজের বিরুদ্ধে নিজেদের বয়ান নথিবদ্ধ করেছেন। যাঁদের প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ব্রিজভূষণ হেনস্তা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাঁদতে কাঁদতে তাঁদের ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন নির্যাতিতারা। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) কাছে অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা কুস্তিগির। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখবেন। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে নির্দেশ দেবেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কিন্তু কিছুই হয়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বালেশ্বরে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে LIC, বিমার টাকা সহজে দিতে শিথিল বহু নিয়ম]

একদিকে যখন সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে কুস্তিগিরদের প্রতি সমর্থন জোরালো হচ্ছে, সেই সময় ক্ষমতা বাঁচাতে বিশ্বজয়ী সতীর্থদের থেকে ভিন্ন অবস্থান নিলেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি। শুক্রবার অধিনায়ক কপিল দেবের নেতৃত্বে ’৮৩-র বিশ্বজয়ী ভারতীয়রা যখন কুস্তিগিরদের সমর্থনে বিবৃতি জারি করেন, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই উলটো বিবৃতি দিলেন বিনি। বললেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে দেখলাম ১৯৮৩-র দল নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমি কোথাও কোনও বিবৃতি দিইনি। বিষয়টি তদন্তাধীন। যোগ্য আধিকারিকরা তদন্ত করছেন। তাঁদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। খেলা ও রাজনীতিকে মিলিয়ে দেওয়া উচিত নয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ মহিলা কুস্তিগিরদের? প্রকাশ্যে FIR-এর তথ্য]

যদিও তাঁরই সতীর্থ তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ বেশ চাঁচাছোলা ভঙ্গিতে বললেন, “কেউ মেডেল বা ট্রফি জিতে ফিরলে প্রধানমন্ত্রী ছবি তোলার জন্য ডেকে পাঠান। খট্টর (হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী) সাক্ষীকে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াওয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করে, অথচ এখন কারও পাত্তা নেই। আমাদের, গোটা দেশকে ওঁদের হয়ে ঝাঁপাতে হবে। মনে রাখবেন আমরা ইন্দিরা গান্ধীর জন্য বা ওঁরা নরেন্দ্র মোদির জন্য পদক জেতেননি। জিতেছেন
দেশের জন্য।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ