সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমর্থক তো বটেই। টিমের ফুটবলারদের নয়নের মণি ছিলেন তিনি। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই ছবিটা রাতারাতি বদলে গিয়েছে। ব্যাপারটা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন টিম ছাড়লেও কারও কিছু এসে যায় না। এসবের মধ্যেও রিয়াল ডিফেন্ডার স্যার্জিও র্যামোসের সঙ্গে লেগে গেল পর্তুগিজ তারকার।
যে টিম গত দু’বার রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়েছে, সেই টিমের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। উলটে অ্যাসেনসিও, নাচোদের মতো তরুণ ফুটবলারদের উপর ভরসা রাখছেন কোচ জিদান। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। মরশুমের শুরুতে বেশ কিছু ম্যাচ হারের পরেই রোনাল্ডোর মেজাজ বিগড়েছে। কেন এত তরুণের উপর ভরসা রাখা হচ্ছে সেই প্রশ্নও তুলে ফেলেছেন তিনি। এমনকী এও জানিয়েছেন, আর রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করতে চান না। হতে পারে তাঁর এই বক্তব্যই প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতে যা খবর, তাতে রোনাল্ডো সম্পর্কে আর খুব একটা ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন না রিয়াল কর্তারা।
[২০১৮ বিশ্বকাপে ৩২টি দেশ চূড়ান্ত, কাদের দেখা যাবে রাশিয়ায়?]
প্রসঙ্গত, দলের তরুণদের নিয়ে রোনাল্ডো যাই বলুন না কেন, র্যামোসের সঙ্গে তরুণ ফুটবলারদের সম্পর্ক বেশ ভাল। তাই স্প্যানিশ দৈনিকগুলিতে বলাবলি শুরু হয়ে গিয়েছে, রোনাল্ডোর পাশে এখন থাকছেন না র্যামোসও। অর্থাৎ পর্তুগিজ তারকার বিদায় আসন্ন। তবে সিআর সেভেন আবার দল ছাড়ার ব্যাপারে দিন কয়েক আগে মুখ খুললেও, সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে কোথায় কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি নিজের পারফরম্যান্সে জোর দিচ্ছেন। এবং টার্গেট একটাই, গোল করে দলকে জেতানো।
রোনাল্ডো বলছিলেন, “আমি চার সন্তানের বাবা। এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি সাত সন্তানের বাবা হতে চাই। এবং সাতবার ব্যালন ডি’অর জিততে চাই।” প্রসঙ্গত চারবার তিনি বর্ষসেরা হয়ে গিয়েছেন। কোনও অঘটন না হলে, খুব শীঘ্রই পঞ্চমবারের ব্যালন ডি’অরও পাকা। পর্তুগিজ স্ট্রাইকার তাই বলছিলেন, “সাত বার বর্ষসেরা হতে গেলে, আমাকে এরপর আরও দুবার এই সম্মান জিততে হবে। সেটা তো আর এমনি এমনি হবে না। আমাকে প্রমাণ করতে হবে। পারফর্ম করতে হবে।” সাত নম্বরের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামেন। সাত নম্বরই তাঁর কাছে লাকি? সেই জন্যই কি এমন লক্ষ্য? এর উত্তর তিনিই অবশ্য ভাল জানবেন।