Advertisement
Advertisement

Breaking News

এটাই বাংলা! আসানসোলে সংঘর্ষে ভাঙা মাজার মেরামত করল কালীমন্দির কমিটি

ঐক্যের বার্তা নিয়ে একে অপরের পাশে দুই সম্প্রদায়।

Asansol: Temple authorities renovate razed mausoleum
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 2, 2018 9:06 am
  • Updated:July 1, 2019 1:12 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়আসানসোল: দুটি গোষ্ঠীর একাংশ একদিকে মেতে উঠেছে হিংসার খেলায়। আসানসোল আর রানিগঞ্জে যখন এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর ঘর- বাড়ি, দোকানে, আগুন জ্বালাচ্ছে,  মারমুখী হয়ে উঠছে। সেই অন্ধকারেও দেখা গেল আলোর রেখা। দুই গোষ্ঠীর সহাবস্থানে এ এক অন্য আসানসোল। যারা হিংসার খেলায় মেতেছে, তারা আসলে দুষ্কৃতী। এই বার্তা দিতেই হিংসার জেরে ভেঙে যাওয়া মাজার সারিয়ে দিল মন্দির কমিটি। সব থেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের রেলপাড়ের ডিপোপাড়া,  মহুয়াডাঙাল, রামকৃষ্ণ ডাঙাল,  শ্রীনগর,  ওকে রোড,  চাঁদমারি এলাকা। সেই ডিপোপাড়াতেই দুই সংখ্যালঘু প্রতিবেশীর পুড়ে যাওয়া দোকান মেরামত করতে চাঁদা তুললেন প্রতিবেশী সংখ্যাগুরু বাসিন্দারা। ডিপোপাড়া দক্ষিণা কালীমন্দির কমিটি ওই মাজারটি গড়ে দিল। তাঁরাই চাঁদা তুলে চেক তুলে দেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে।

[ছেড়ে চলে যাবে, আতঙ্কে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা স্বামীর]

সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন,  ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম…।’  কবির জন্মস্থান আসানসোলের চুরুলিয়ায়। সেখানে আচমকা এই হিংসার ছায়া মেনে নিতে পারছেন না এলাকার মানুষ। স্থানীয় মলয় মজুমদার বলেন,  গত ৩০-৪০ বছর ধরে এরকম হিংসার ঘটনা তিনি দেখেননি। বুধবার রাতে কিছু  দুষ্কৃতী ওই মাজারটি ভেঙে দেয়। পাড়ার দু’টি দোকানে আগুনও ধরিয়ে দেয়। তিনি বলেন,  এই সব ঘটনা ঘটাচ্ছে বাইরের দুষ্কৃতীরা। তাই শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের বার্তা দিতেই মন্দির কমিটি মাজারটি সারিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই পাড়ারই আরেক বাসিন্দা রোকেয়া বানু বলেন, “যাঁর যা সামর্থ্য,  সেই অনুযায়ী চাঁদা তোলা হয়েছে। পুড়ে যাওয়া দোকান দু’টিও ঠিক করা হয়েছে যৌথভাবে।”

Advertisement

অন্যদিকে শান্তি ও সম্প্রীতির সহবস্থান দেখা গেল কুলটির চিনাকুড়িতেও। দুষ্কৃতীদের নজর থেকে বাঁচাতে হবে। তাই মন্দির ও মসজিদে রাত পাহারা দিতে দেখে গেল চিনাকুড়ির বাসিন্দাদের। দুই গোষ্ঠী মিলে রাত জাগরণ পার্টি তৈরি করে ওই পাহারার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি,  কিছু দুষ্কৃতী সাধারণ মানুষের ঘরে ও ধর্মীয় স্থানে হামলা করছে রাতের অন্ধকারে। তাই তাঁরা একত্রিত হয়ে রাতে পাহারা দিচ্ছেন। হিংসার মোকাবিলা করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই চিনাকুড়িতে হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পশুর দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল দুই পক্ষের ধর্মীয় স্থানে। কিন্তু এই অশান্তির মধ্যেও সেই প্ররোচনায় পা দেয়নি চিনাকুড়ির বাসিন্দারা। সুরজদেব ঠাকুর বলেন,  সম্প্রীতির সম্পর্ক রয়েছে চিনাকুড়িতে। তা বিঘ্নিত হতে দেওয়া যাবে না। শামিম শেখ বলেন,  বাইরের দুষ্কৃতীরা এখানে এসে গোলমাল করার চেষ্টা করতে পারে। দুষ্কৃতীদের রুখে দিতেই এই রাত জাগার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

[সফল হাঁটু প্রতিস্থাপন, নয়া নজির গড়লেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ