স্ত্রীর সঙ্গে বেজায় ঝামেলা, শ্বশুরবাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দিল ‘গুণধর’ জামাই

সোমনাথ পাল, বনগাঁ: স্ত্রীর সঙ্গে নিত্যদিন ঝামেলা৷ রাগের বশে রাতের অন্ধকারে শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল জামাই৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার মামাভাগিনা গ্রামে৷ শাশুড়ির অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে গুণধর জামাইকে৷ ধৃতের নাম ব্রজেন মণ্ডল৷

[  যে কোনও ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইনের দাবিতে অনশনে যুবক ]

দাম্পত্যে ঝামেলা নতুন কিছু নয়৷ মিঠেকড়ায় কাটানোই তার সূত্র৷ তবে কখনও ঠোকাঠুকি যে জোর লাগে না তা নয়৷  জল গড়ায় আদালতেও৷  তবে এ জামাই যা করলেন তা প্রায় নজিরবিহীন৷ যে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে এত ঝামেলা, সেখানেই অগ্নিসংযোগ করল সে৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় ব্রজেনের৷ বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হয়ে থাকত সে৷ কারণে-অকারণে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকত৷ নিত্যদিনই ঝামেলা হত৷ দুই পক্ষই একে অন্যকে অকথ্য গালিগালিজ করত৷ প্রতিবেশীদেরও পুরো ঘটনা একরকম গা-সওয়া হয়ে গিয়েছিল৷ তবে সইতে পারেনি খোদ জামাই বাবাজি৷   দিন তিনেক আগে স্ত্রীর উপর রাগ মেটাতে তাই রাতের অন্ধকারে শ্বশুরবাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেয় ব্রজেন৷ মদের নেশাতেই এ কাজ করে সে৷ ঘটনার পর হুঁশ ফিরতেই বেপাত্তা হয়ে যায়৷

[সিউড়ির দিলদার শেখ খুনের তদন্তে সিট গঠন বীরভূম জেলা পুলিশের]

জামাইয়ের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় মামলা দায়ের করেন শাশুড়ি৷ অভিযোগ পাওয়ার পরই জামাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ৷ বুধবার রাতে বাগদা থানা এলাকার অন্তগর্ত কুলবেড়িয়া এলাকা থেকে ব্রজেনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়৷ ধৃতের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়েছে৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান,  নেশার ঘোরেই এই কাজ করে ফেলেছে অভিযুক্ত৷ তারপর হুঁশ ফিরতেই নিজের ভুল বুঝতে পারে৷ কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে৷ তাই ভয় পেয়েই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ব্রজেন৷ কিন্তু অল্প সময়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়৷

[অব্যাহত পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার জট, ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে বাম-কংগ্রেস]