Advertisement
Advertisement

Breaking News

কংগ্রেস সভাপতিকে ‘ওয়ে রাহুল’ বলে বিপাকে বিজেপি, নিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায়

'ওয়ে' বলে কাউকে ডাকাই উচিত নয়, মত নেটিজেনদের।

BJP’s Amit Shah addresses Congress President Rahul Gandhi as ‘Oye’
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 28, 2018 4:29 pm
  • Updated:July 17, 2019 2:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মঙ্গলবার কর্ণাটক নির্বাচনে বিজেপিরই মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ইয়েদুরাপ্পাকে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তাঁর ওই মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। সুযোগ ছেড়ে দেয়নি কংগ্রেসও। দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করেন, ‘বিজেপি প্রেসিডেন্টের উপহার। কংগ্রেসের প্রচারকে একধাক্কায় অনেকটাই এগিয়ে দিলেন অমিত শাহ। তিনিই তো বলে দিলেন, কর্ণাটকের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার চালিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পাই।

[সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিদায় আসন্ন, দিল্লিতে হুঙ্কার মমতার]

কিন্তু রাহুলের এই মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়েই বিজেপি ফের বেকায়দায় পড়ে গেল। কারণ, বিজেপির আইটি সেল রাহুলের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তার নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। বিজেপির বক্তব্য, ‘রাহুল এখনও শিশু। কারও মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কোনও কথাকে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারের ভিত্তি হিসাবে কেউ দেখলে তাঁকে শিশু ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়?’ এখানেই না থেমে বিজেপি কর্ণাটকের টুইটের পরবর্তী অংশ, ‘কংগ্রেসের মতো আমাদের কোনও কিছুই লুকানো নেই। আমরা ১০০% স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী।’ সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর টুইটারের URL পোস্ট করে লেখা হয়, দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক পরিবারের প্রোফাইলটি দেখে অসুন।

[কমিশনের আগেই কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের দিন টুইট, বিপাকে বিজেপি নেতা]

 

কিন্তু বিতর্ক বেধেছে রাহুলের প্রতি বিজেপির সম্বোধনকে ঘিরে। বিজেপি কর্ণাটকের টুইটারে কংগ্রেস সভাপতিকে ‘ওয়ে রাহুল’ বলে মন্তব্য করা হয়। এখানেই আপত্তি জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘ওয়ে’ বলে কাউকে ডাকাটাই অশালীন। এতে যাঁকে ডাকা হচ্ছে, তাঁকে ছোট করে দেখানো হয়। তাঁরা বলছেন, একটি জাতীয় দলের তরফে কংগ্রেস সভাপতিকে ‘ওয়ে’ বলে ডাকা উচিত হয়নি। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই, কিন্তু তা বলে শালীনতা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

এদিকে, অমিত শাহের বেফাঁস মন্তব্যের পূর্ণ ফায়দা তুলতে আসরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহ একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন।’ বস্তুত, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ২০১১-তে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠাতেই বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। আগামী ১২ মে কর্ণাটকে নির্বাচন। সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির তাস সেই ইয়েদুরাপ্পা-ই। ১৫ মে জানা যাবে, রাজ্যের তখতে কে বসবেন।

ডোকলাম চেয়ে ফের হুঙ্কার ড্রাগনের, চামোলিতে চিনা কপ্টারের অনুপ্রবেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ