Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার পচা মাংসের হদিশ মিলল বিমানবন্দর এলাকায়, ধৃত ২

ধৃতদের জেরা করে নিউটাউনে খামারের সন্ধান মিলেছে, বাজেয়াপ্ত ১০০ কেজি পচা মাংস।

Carcass meat seized near Dum Dum Airport, 2 held
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 27, 2018 2:33 pm
  • Updated:October 27, 2018 5:17 pm

কলহার মুখোপাধ্যায়: এবার পচা মাংসের হদিশ মিলল এয়ারপোর্ট এলাকায়। পচা মাংস দোকানে সরবরাহ করতে যাওয়ার পথে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক যুবক। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত দোকানদারকেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটের পুলিন অ্যাভিনিউ এলাকায়।

শুক্রবার এলাকায় স্কুটারে করে প্রায় ৭০ কেজি মাংস নিয়ে যাচ্ছিল যুবকটি। মাংস থেকে পচা গন্ধ ভেসে আসছিল। সন্দেহ হওয়ায় স্কুটার আটকান স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, স্থানীয় এক দোকানে এই মাংস সরবরাহ করতে যাচ্ছিল সে। এলাকাতেই কিছুদিন আগে কেএফসি-র আদলে ওই দোকান খুলেছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল ওয়াইএফসি। কেএফসি-র মতোই ফ্রায়েড চিকেন বিক্রি হত সেখানে। আর তার জন্যই ব্যবহার হত এই পচা মাংস। এরপরই দোকানের মালিকের কাছে কৈফিয়ত চান এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে জানতে পারে, কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দোকানটি চলছিল। এমনকী, মালিকেরও ট্রেড লাইসেন্স নেই। দুইজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে নিউটাউনে পচা মাংসের খামারের সন্ধান মিলেছে। সেখানে হানা দিয়ে ১০০ কেজি মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১০ জনকে।

Advertisement

[স্কুলের বন্ধুরা একজোট, গ্রামে গ্রামে বাল্যবিবাহ রুখছে নাবালিকারাই]

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমদম পুরসভার উপ পৌরপ্রধান বরুণ নট্ট। তিনি বলেন নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। অল্প কিছুদিন আগেই দোকানটি খোলা হয়েছিল। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থানার ৫০০ মিটারের মধ্যেই দোকানটি চলছিল। কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। পুলিশের নাকের ডগায় কেমন করে চলছিল এই কাজ? এই প্রশ্নই তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই বজবজের একটি ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস পাচারের হদিশ মেলে। এরপরই কেঁচো খুড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পায় পুলিশ। ট্যাংরা, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। খোঁজ মেলে হিন্দুস্তান কোল্ড স্টোরের। হিমঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে জমা রাখা হত টন টন মাংস। যা প্রক্রিয়াকরণের পর সস্তার হোটেলে চালান করা হত। শুধু তাই নয়, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, চক্র ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ও নেপালেও পাচার হত পচা মাংস। এয়ারপোর্ট কাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই মাংস আর কোথায় কোথায় সরবরাহ করা হত, তা জানার চেষ্টা চলছে।

[ভাগাড়ের পচা মাংসে আতঙ্ক, কোপ বিয়েরবাড়ির মেনুতেও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ