Advertisement
Advertisement

Breaking News

হুগলিতে ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, খুন ভদ্রেশ্বরের পুর চেয়ারম্যান

দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জেলা তৃণমূল সভাপতির।

Chairman of Bhadreswar Municipality Manoj Upadhyay shot death by miscreants
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 22, 2017 3:11 am
  • Updated:September 23, 2019 12:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের হুগলিতে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। এবার নিশানায় জনপ্রতিনিধি। মঙ্গলবার মধ্যরাতে খুন হলেন ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়। গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়।

BHADRESWAR-MURDER

Advertisement

[বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল, শহরে ধৃত ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি-সহ ৩]

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর রাত পৌনে বারোটা নাগাদ ক্লাব থেকে মনোজবাবু বাড়ি ফিরছিলেন। এক ব্যক্তির বাইকে ছিলেন তিনি। এমন সময় অপর একটি বাইকে করে আসা কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে ডাকেন। চেয়ারম্যান কথা বলতে গেলে আচমকাই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। মনোজবাবুর মাথায় ও পেটে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় অঙ্কুর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় পুর চেয়ারম্যানকে স্থানান্তর করা হয় চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই মনোজ উপাধ্যায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে রাতেই পৌঁছে যান হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। মনোজের মৃত্যু মানতে পারছেন না তপনবাবু। তিনি জানান, মনোজ খুব সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ভদ্রেশ্বর পুর এলাকায় তাঁর হাত ধরে প্রভূত উন্নয়ন হয়। মনোজর কোনও শত্রু থাকতে পারে আমাদের জানা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর বক্তব্য, মনোজকে খুনের চক্রান্ত করার খবর থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল পুলিশের। এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে জিরো টলারেন্সে তদন্ত হবে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।

[ফের দুর্ঘটনার কবলে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, মাথায় ভেঙে পড়ল চাঙর]

মনোজ উপাধ্যায় ভদ্রেশ্বরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত। তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য, এলাকার উন্নয়নে তিনি জোর দিয়েছিলেন। এলাকায় দুষ্কৃতীরাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এই কারণে তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে অনুমান এলাকার বাসিন্দাদের। জীবনের ঝুঁকির কথা মানলেও মনোজবাবু অনুগামীদের বারবার জানিয়েছিলেন কোনও কিছুতেই তিনি ভয় পান না। কোনওরকম নিরাপত্তারক্ষী ছিল না তাঁর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ