অর্ণব আইচ: এলাকা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আলিপুরের গোপালনগর। বুধবার রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আহত হয় দুপক্ষের অন্তত ২৫ জনেরও বেশি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকা দখল নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া থেকে শুরু করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, দুই গোষ্ঠীর লোকজন একে অপরের পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরে শান্ত হয় পরিবেশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার পিছনে এলাকার দুই তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহা ও বিপ্লব মিত্রর হাত রয়েছে। তাঁদের অনুগামীরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলে খবর।
বুধবার রাত ১০.১০ মিনিট নাগাদ গোপালনগর রোডে দুই গোষ্ঠীর লোকজন একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। বিপ্লব মিত্রর দলবল জানিয়েছে, এদিন রাতে আচমকা প্রতাপ সাহা ও তার দলবল তাদের মারতে শুরু করে। পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তাদের প্রত্যেকের হাতে পিস্তল. ছুরি, লাঠি, বাঁশ ছিল। সেই সব অস্ত্র নিয়েই তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রতাপ সাহা ও তার লোকজনকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে বিপ্লব মিত্রর দল। অন্যদিকে, প্রতাপ সাহার মেয়ে জানান, এদিন রাতে বিপ্লব মিত্রর দলবল তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় প্রথমে। তারপর ইট, পাটকেল শুরু করে। এমনকী মেনগেটের দরজাও তারা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুপক্ষের বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় আহত হয়েছে। সাহেব রজক নামে বিপ্লব মিত্রর দলের একজন গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। নিরাপত্তার দাবিতে তাঁরা পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার সকালেও এলাকা থমথমে রয়েছে। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.