Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাগাড় থেকে মাংস যাবে হোটেলে, হিমঘরে মজুত টন টন মাংস

উদ্ধার ১০০০ প্যাকেট মাংস, বিহার থেকে গ্রেপ্তার ভাগাড় কাণ্ডের চাঁই ।

Cops seize carcass meat from Kolkata cold storage, kingpin nabbed
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 26, 2018 2:23 pm
  • Updated:October 27, 2018 5:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  ভাগাড় কাণ্ডে নয়া মোড়। বিহারের নওদা থেকে গ্রেপ্তার ভাগাড় কাণ্ডের চাঁই সানি মালিক। এই ঘটনায় সানি-সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  ধৃতদের জেরা করে রাজাবাজারের হিন্দুস্তান কোল্ড স্টোরের হদিশ পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযান চালিয়ে ২০টন মাংস উদ্ধার হয়েছে। মাংস উদ্ধারের পর ট্যাংরা, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ একাধিক জায়গায় হানা দিচ্ছে পুলিশ। চলছে তল্লাশি অভিযান। উদ্ধার হওয়া মরা পশুর মাংস প্যাকেট করা ছিল। প্রায় হাজারটি এরকম প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। ভাগাড় থেকে মরা পশু সোজা আসত এই কোল্ড স্টোরে। সেই মাংস পিস করে কেটে প্রথমে প্রক্রিয়াকরণ করা হত। তারপর প্যাকেটবন্দি হয়ে থেকে যেত কোল্ড স্টোরেই। প্রয়োজন মতো সেই প্যাকেটজাত মাংস রপ্তানি হত শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয়

[জলের পাইপ ভেঙে নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু, হাইল্যান্ড পার্কের আবাসনে চাঞ্চল্য]

এত বড় ঘটনা নারকেলডাঙা এলাকার ওই কোল্ড স্টোরে দিনের পর দিন চলেছে, যদিও কোল্ড স্টোরের মালিক কিছুই জানেন না। এমনটাই দাবি করা হয়েছে। মালিকের বক্তব্য, ভাড়া নিয়ে আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে কে কী রাখছে তার খবর রাখা সম্ভব নয়। অন্যদিকে সানি মালিককে এখনও জেরা করছে পুলিশ। শহরের আর কোন কোন কোল্ড স্টোরে এইভাবে পচা মাংস প্যাকেটজাত করে রাখা হত তার খোঁজ চলছে।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ডহারবার থানার এসপি কোটেশ্বর রাও জানান, “গত শুক্রবার বজবজের ভাগাড় থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের জেরা করেই এই অসাধু চক্রের মূল চাঁই সানি মালিকের হদিশ মেলে। বিহারের নওদায় তার বাড়ি। খবর পেয়েই লালবাজারের জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের সঙ্গে কথা বলি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। একদল যায় বিহারের নওদায়। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার হয় সানি। তাকে জেরা করেই এই হিন্দুস্তান কোল্ড স্টোরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ২০ টন প্যাকেটজাত মাংস। মাংস উদ্ধারের পর সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এরপর উদ্ধার হওয়া মাংসগুলি মরা পশুর কিনা তা জানতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পক্রিয়াকরণের জন্য কী কী রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়েছে তাও জানা যাবে।” সানিকে জেরা করে এরপর জেলা পুলিশ ট্যাংরা, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও কোন কোন কোল্ড স্টোরে এই মরা পশুর মাংস রাখা হত তা জানার চেষ্টা চলছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদেরও পরিচয় জানার চেষ্টায় পুলিশ।

Advertisement

[সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত ছুটবে অত্যাধুনিক চালকহীন রেক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ