Advertisement
Advertisement

Breaking News

টিডিপি এনডিএ ছাড়তেই গড় বাঁচাতে শিবসেনার সঙ্গে বৈঠক ফড়ণবিসের

সিঁদুরে মেঘ মহারাষ্ট্রের আকাশে।

Devendra Fadnavis meets top Shiv Sena leaders as TDP quits NDA
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 16, 2018 7:44 pm
  • Updated:August 19, 2019 12:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা বজায় রাখতে এবার শিবসেনার সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠকে বসল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার বিপুল জয় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শাসক বিজেপির উপর থেকে আস্থা হারিয়েছে মানুষ। তার হাতে গরম প্রমাণ যোগীর নির্বাচনী কেন্দ্র, গোরক্ষপুরে সপা-বিএসপি জোটের জয়। একই সঙ্গে ফুলপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী কেন্দ্রে ভরাডুবি। আপাতদৃষ্টিতে শুধু দু’টি কেন্দ্রে বিজেপির হার দেখলেই হবে না। আপেক্ষিক ক্ষেত্রে কিন্তু এই জয়ের বিপরীতার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হার। তাই ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যে সিপিএমকে হারিয়ে যে জয় উপভোগ করতে চেয়েছিল শাসক বিজেপি, তাতে অচিরেই ছেদ পড়ল। ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের আঘাত। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখেননি, এনডিএ-র প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এল তেলুগুদেশম পার্টি। এক ধাক্কায় সংসদে ১৬টি আসন হারাল শাসক বিজেপি। সবারই একটাই অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা।

[সেতু-সমুদ্রম প্রকল্পে রাম সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের আশ্বাস]

সিঁদুরে মেঘ দেখে চুপ করে বসে থাকেননি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। গড় বাঁচাতে পুরোনো জোট সঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠকে বসেছেন। একটাই লক্ষ্য, মহারাষ্ট্রে বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখা। সেই সঙ্গে সংসদে যে ৩১১ জন সাংসদ রয়েছেন, তা ধরে রাখা। এমনিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা ধরে রাখতে গেলে সংসদে ২৭২ জন প্রতিনিধি থাকতেই হবে। সেখানে বিজেপির ২৭৪ প্রতিনিধি রয়েছে। জোট মিলিয়ে ছিল ৫৪৩ জন সাংসদ। টিডিপি জোট ছাড়তেই সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩১১-তে। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনা যদি এনডিএ জোট ছেড়ে আগামী মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে, তাহলে বিপর্যয় আসন্ন। সেই বিপর্যয়ে বাঁধ দিতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন ফড়ণবিস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শিবসেনা মুখপত্র সামনায় বিজেপির রাজনৈতিক ক্ষেত্র নিয়ে পর্যালোচনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পরের ছবির সঙ্গে আজকের বিজেপির পার্থক্যটাই সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে নিজস্ব অবস্থান থেকে বিজেপির অবনমন ঘটেছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেই ন’টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। তাই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগেই ঘর গোছাতে উঠে পড়ে লেগেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।

Advertisement

[নির্ভয়ার মাকে কুরুচিকর মন্তব্য, বিতর্কে প্রাক্তন পুলিশকর্তা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ