Advertisement
Advertisement

বিয়েতে নারাজ পরিবার, মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়লেন যুবক!

এ যেন ‘শোলে’-র সেই বীরু!

In Malda, Youth recreates ‘Sholay’ scene as father opposed marriage
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 8, 2018 12:23 pm
  • Updated:September 18, 2019 12:07 pm

বাবুল হক, মালদহ: এ যেন ‘শোলে’-র সেই ধর্মেন্দ্র! পড়শি প্রেমিকার সঙ্গে বিয়েতে মত দেননি বাবা। তাই সাতসকালেই সুউচ্চ মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়ল ছেলে। নিচ থেকে বিস্তর হাঁকডাক। যুবকের কাণ্ডে হতবাক মালদহের কালিয়াচকের দরিয়াপুর।

[ফের বিড়ম্বনায় বিজেপি, প্রেমিকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আনিসুর রহমান]

Advertisement

২৬ বছর বয়স। এরপরও বাবা বিয়ে দিতে রাজি হননি। তাতেই অভিমান মামুদ শেখের। দিনভর মোবাইল টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসে থাকলেন মামুদ। আর নিচে? কৌতূহলী হাজারো মানুষের ভিড়। উপরে তাকিয়ে সবাই। এমনকী মামুদের বাবা আবদুল শেখও। কিন্তু বাবার মনে কোনও উৎকন্ঠাই ছিল না। বিড়বিড় করে ছেলের উদ্দেশে আবদুল সাহেব ঘুরেফিরে একটাই কথা বলছিলেন, “তুই বিয়ে করে টাওয়ারেই বসে থাকবি। আমি বাড়িতে তুলব না।” পুলিশ ও দমকলকর্মীরা পৌঁছেও ওই যুবককে টাওয়ার থেকে নামানোর উপায় খুঁজে পায়নি। মই বেয়ে টাওয়ারে কেউ ওঠার চেষ্টা করলেই মরণঝাঁপের হুমকি দেন মামুদ। বরফ গলেনি দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পরেও। নিচে থাকা মানুষজন তাঁকে বাগে আনতে না পারলেও পাখির ধাক্কায় মামুদকে রণে ভঙ্গ দিতে হয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির খোঁচা খেয়ে একটু একটু করে নেমে আসতে বাধ্য হন ওই যুবক। পরে পাড়ার বন্ধুরা কিছুটা উপরে উঠে তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিচে নামান।

Advertisement

Screenshot_2018-01-07-19-46-30-48

[বাদুড়িয়ায় পবনপুত্রের শ্রাদ্ধে পাত পেড়ে খেলেন কয়েক হাজার মানুষ]

মালদহের কালিয়াচকের দরিয়াপুর গ্রামের এই ঘটনা ‘শোলে’-র বীরুর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে স্থানীয়দের। কালিয়াচকের অদূরেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দরিয়াপুর। জাতীয় সড়ক থেকেও ওই সুউচ্চ টাওয়ারটি দেখা যায়। মামুদের এই কাণ্ডকারখানায় কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও দমকল কর্মীদেরও। দরিয়াপুরের যুবক মামুদ শেখ ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। শেষবার গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। সম্প্রতি কাশ্মীর থেকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরেছিলেন, এবার তিনি বিয়ে করবেন। গ্রামেরই এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম মামুদের। সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করার জন্য তিনি রীতিমতো পণ ধরেন। আর এতেই আপত্তি জানায় পরিবারের। তাঁর বাবা আবদুল শেখ সাফ জানিয়ে দেন, ওই মেয়ের সঙ্গে কোনও মতেই তিনি ছেলের বিয়ে দেবেন না। তারপরই ছেলে বনে যান ‘ধর্মেন্দ্র’।  এ যাত্রায় মামুদ ওরফে ‘ধর্মেন্দ্র’ নিচে নেমে এলেও তাঁর পছন্দে আদৌ বিয়ে হবে কি না তা জানা যায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ