Advertisement
Advertisement

OMG! নবদম্পতিকে দেওয়া উপহারের প্যাকেটে বোমা, গ্রেপ্তার অধ্যাপক

বিস্ফোরণে প্রাণ হারান পাত্র ও তাঁর ঠাকুমা।

Man who sent parcel bomb to Odisha couple held
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 26, 2018 3:11 pm
  • Updated:October 27, 2018 5:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  বিয়ের উপহার। নবদম্পতিকে রীতিমতো পার্সেল করে পাঠানো হয়েছিল বোমা! বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন পাত্র ও তাঁর ঠাকুমা। গুরুতর জখম হন পাত্রী। চলতি বছরের ফ্রেরুয়ারি মাসেই ঘটনাটি ঘটেছিল ওড়িশার পাটনাগড়ে। অবশেষে, সেই ঘটনার মূলচক্রী এক অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করল ওড়িশার পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্তকারীদের দাবি, পাত্রের মা সংযুক্তা শাহু অভিযুক্তের সহকর্মী ছিলেন। পদোন্নতিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন সংযুক্তা। সেই আক্রোশের জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত।

[উত্তরপ্রদেশে স্কুলবাসে ট্রেনের ধাক্কা, প্রাণ গেল ১৪ পড়ুয়ার]

Advertisement

ছেলের বিয়ে বলে কথা। সমস্ত সহকর্মীদেরই নিমন্ত্রণ করেছিলেন  অধ্যাপিকা সংযুক্ত শাহু। ফ্রেরুয়ারিতে ওড়িশার পাটনাগড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন অভিযুক্ত পুঞ্জিলাল মেহরও। তিনিও যে পাত্রের মায়ের সহকর্মী। ছেলের বিয়ের কিছুদিন আগে পদোন্নতি পেয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল হন সংযুক্তা। তদন্তকারীদের দাবি, সহকর্মীর পদোন্নতি মেনে নিতে পারেননি ওই কলেজেরই অধ্যাপক পুঞ্জিলাল মেহর। প্রতিশোধ নেওয়ার ছক কষেন তিনি। দিওয়ালির সময়ে বাজি কিনেছিলেন পুঞ্জিলাল। প্রায় আট মাস ধরে বাজির মশলা দিয়ে প্রায় ২ কেজি ওজনের একটি বোমা বানিয়ে ফেলেন তিনি। এরপর বিয়ের দিন সেই বোমাটিই পার্সেল করে ক্যুরিয়ার মারফৎ নবদম্পতিকে পাঠিয়ে দেন ওই কলেজ শিক্ষক। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন কলেজে ক্লাস নিয়েছিলেন পুঞ্জিলাল। এরপর ট্রেনে করে চলে আসেন রায়পুর। সেখানে এক অটোচালককে দিয়ে পার্সেলটি পাঠিয়ে দেয় ক্যুরিয়ার সংস্থায়।

Advertisement

[২ হাজার হুমকি চিঠি পেয়েও আসারামের বিরুদ্ধে তদন্ত থামাননি এই অফিসার]

ছেলের বিয়েতে যে অভিযুক্ত পুঞ্জিলাল মেহরও আমন্ত্রিত ছিলেন, সেকথা জানিয়েছেন পাত্রের বাবা রবিন্দর শাহুও। তিনি বলেন, ‘উনি আমার ছেলের বিয়েতে এসেছিলেন। আমরা কলেজের সমস্ত স্টাফ ও সহকর্মীদের নিমন্ত্রণ করেছিলাম।’ রবিন্দর শাহুর অভিযোগ, কলেজে পুঞ্জিলালের থেকে প্রায় ১৩ বছরের সিনিয়র ছিলেন সংযুক্তা। তাই নিয়মাফিকই তিনিই প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন। কিন্তু, সেটা মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্ত। প্রথম দিকে সংযুক্তাকে কলেজে রীতিমতো হেনস্তাও করতেন তিনি। নয়া প্রিন্সিপালের কোনও নির্দেশও মানতেন না পুঞ্জিলাল শাহু। উলটে প্রিন্সিপালের সঙ্গে অন্য অধ্যাপকদের উসকানি দিতেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছিলেন পাত্রী। দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন পাত্রী।

[যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে আগ্রহী নন মন্ত্রীমশাই, বন্ধ হচ্ছে রেলের টুইট সেল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ