Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের বাবা কিনা তস্কর গ্যাংয়ের ‘বস’!

ছোট ছেলে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া।

Mumbai: Dad a thief, sons are engineer and doctor
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 13, 2018 12:57 pm
  • Updated:January 10, 2019 4:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা চোর। তিন ছেলের এক জন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, এক জন ডাক্তার। আর শেষের জন হোটেল ম্যানেজমেন্টের পড়ুয়া।

ঘটনাচক্রে, নিজের চৌর্যবৃত্তি সন্তানদের কাছে অজানাই রেখেছিলেন পিতা রবিচন্দ্রণ মুদালিয়ার। এমনকী তারা যাতে বিষয়টির আঁচও না পায়, তার জন্য থাকতেন আলাদাও। কিন্তু সব কিছু বিগড়ে দিল মুম্বইয়ের একটি বড় চুরির ঘটনা। ২.৫ লক্ষ টাকা চুরির সেই ঘটনায় ধরা পড়া মুদালিয়ার পুলিশি জেরায় কিছুতেই কবুল করছিলেন না কৃতকর্মের কথা। এমনকী, চোস্ত তামিল ভাষায় কথা বলে আরও বিভ্রান্ত করছিলেন পুলিশকর্মীদের। কিন্তু যেই না মুদালিয়ারকে তাঁর আসল পরিচয় তিন সন্তানকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখালেন পুলিশকর্মীরা, আর সংযম ধরে রাখতে পারলেন না ‘টক টক’ গ্যাংয়ের মাথা।

Advertisement

[শিয়া বোর্ডের প্রধানকে হত্যার ছক বানচাল, গ্রেপ্তার দাউদের ৩ শুটার]

Advertisement

ভেঙে পড়লেন তিনি। হিন্দিতেই স্বীকার করলেন, কীভাবে ফাঁদ পেতে দিনের পর দিন গাড়ি থেকে অলংকার, টাকাপয়সা এমনকী দামি মোবাইল ফোনও চুরি করেছেন তিনি। তা, কীভাবে মুম্বইয়ে ঘটত ‘হাই-প্রোফাইল’ চুরির ঘটনা? ‘টক টক’। ঠিক যেন কড়া নাড়ার শব্দ! তবে দরজায় নয়, গাড়ির কাচে। অনেকটা এই ধরনের শব্দ করেই কোনও গাড়ির চালকের মনোযোগ আকর্ষণ করতেন মুদালিয়ার এবং তার গ্যাংয়ের লোকজন। চালক গাড়ির কাচ নামালেই মুদালিয়ার জানাতেন, গাড়ি থেকে জ্বালানি ‘লিক’ করছে। শশব্যস্ত হয়ে চালক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়ে উঠলেই মুদালিয়ারের দলবল কাজে লেগে পড়ত। গাড়ির সিটে রাখা যে কোনও জিনিস নিয়ে চম্পট দিত। এভাবেই চলতি বছরের মার্চ মাসে দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক অলংকার-ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা চুরি করেছিল ‘টক টক’ গ্যাং।

পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় শুরু হয় তদন্ত। জানা যায়, এর পিছনে রয়েছেন মুদালিয়ার। এর আগেও একইভাবে ধারাভির একটি এটিএমের সামনে থেকে গাড়িভর্তি টাকা লুটের ঘটনাতেও জড়িত ছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর চার দিনের হেফাজতে নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করে পুলিশ। কিন্তু হিন্দি না জানার ভান করে তাঁদের বোকা বানাতে থাকেন মুদালিয়র। কাজ হয় তখন, যখন তাঁর মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার (নবি মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালের) এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া পুত্রকে পিতৃপরিচয় জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় পুলিশ। তখনই নিজের দোষ কবুল করেন তিনি। রবিচন্দ্রণ মুদালিয়ার বর্তমানে আর্থার রোড জেলে বন্দি।

[মোমবাতির আলোয় জাগবেন ‘ওয়াচম্যান’? প্রশ্ন তুলে আসিফার জন্য পথে রাহুল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ